Advertisment

জোড়ায় ঘুরলেই ব্যবস্থা! সরস্বতী পুজোর সকালে উত্তরপাড়ায় বজরঙ দলের পোস্টার

পোস্টারে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি বজরং দলের দাবি, তাদের সরকার এলে এই ধরনের সংস্কৃতি বরদাস্ত করা হবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এই পোস্টার ঘিরে বেড়েছে বিপত্তি।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র পর এবার সরস্বতী পুজো। যুগলদের একসঙ্গে ঘুরতে দেখলে কড়া ব্যবস্থার নিদান দিয়ে রাখল বজরঙ দল। হুগলির উত্তর পাড়ায় এভাবেই নীতিপুলিশের ভুমিকায় দেখা গেল বজরঙ দলকে। এলাকায় তাদের নামে পড়া পোস্টার ঘিরেও পড়েছে চাঞ্চল্য। সরস্বতী পুজোকে বাংলার ভ্যালেন্টেইন্স ডে বানিয়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আমদানি করলেই বিপদ। খানিকটা এই সুরেই উত্তরপাড়া গঙ্গার ঘাটে পড়েছে সেই পোস্টার। পোস্টারের বক্তব্য, ‘বসন্ত পঞ্চমী সরস্বতীর আরাধনার দিন। এই দিনটিতে আমাদের সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ব্যবহার করে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু মানুষ বাংলার 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'-তে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন এই দিনটিকে। এই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়’। পোস্টারে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি বজরং দলের দাবি, তাদের সরকার এলে এই ধরনের সংস্কৃতি বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisment

এই ধরনের পোস্টারের তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল। দলের নেতাদের অভিযোগ, বিজেপি, বজরং দল একই গোত্রের। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা ‘পাশ্চাত্য সংস্কৃতি’কে সমর্থন করেন না। কিন্তু এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয়। কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাঙালিদের কাছে সরস্বতী পুজো মানেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এই দিনে বন্ধু- বান্ধবীর সঙ্গে ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিশেষ মানুষকে নিয়ে একান্তে সময় কাটানো। বহু যুগ ধরেই বাংলায় এই সংস্কৃতি চল আছে।  বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ কিংবা গঙ্গার ধারে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতন।  উত্তরপাড়ায় সেই ভিড় দেখা যায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে। কিন্তু এ বছর ওই ঘাটগুলিতে পড়েছে বজরং দলের পোস্টার। মঙ্গলবার সকালে ওই হুমকি পোস্টারগুলি নজরে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

কিন্তু পোস্টার সরানোর বিষয়ে এখনও কার্যত গা ছাড়া মনোভাব পুলিশের। শ্রীরামপুরে এসিপি গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘এই রকম পোস্টারের কথা শুনেছি। পোস্টারে একটি দলের নাম লেখা আছে। তবে কারা এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পোস্টার ঘিরে শুরু হয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরও। শ্রীরামপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্তোষ সিংহের অভিযোগ, বিজেপি আর বজরং দল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এঁরা সামান্য ক’টা ভোট পেয়েই রাজ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি করছে। তা হলে বাংলার মানুষ বুঝুন, আরও কিছু ভোট পেলে কী করবে।’ একই সঙ্গে সন্তোষের হুঁশিয়ারি, যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই ধরনের কোনও কর্মকাণ্ড দেখলে তাঁরা অভিযুক্তদের পুলিশ-প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন।

তবে বিজেপি-র শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসুর পাল্টা দাবি, ‘‘বজরং দল আমাদের কোনও শাখা সংগঠন নয়, আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও নেই। তবে সরস্বতী পুজোকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে পালন করার বিরোধী আমরাও।’

Bajrang Dal Hooghly Saraswati Puja Poster
Advertisment