নদীঘাট থেকে বালি, পাথর তুলতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ৩ শিশু শ্রমিকের। রাতের অন্ধকারে মর্মান্তিত এই ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। আহত আরও এক শিশু শ্রমিক।
Advertisment
জানুয়ারি মাস থেকে বালাসন নদীর ঘাট থেকে বালি, পাথর তোলা বন্ধ। স্থানীয়দের দাবি, এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে চলছে বালি, পাথর তোলার কাজ। গতকাল গভীর রাতে সেই কাজ করতে গিয়েই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। নিহত শিশু শ্রমিকদের বয়স ১৪ বছরের মধ্যে।
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে মাটি কাটায় বালাসন নদীর খাত ক্রমশ নিচু হয়ে যাচ্ছে। এদিন নদীখাতে নেমে পাশের দেওয়াল থেকে খুঁড়ে পাথর বের করার কাজ করছিল দুই নাবালক সহ বাকিরা। সেই পাথর ও বালি তোলা হচ্ছিল ট্র্যাক্টরে। ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েছিল ট্র্যাক্টরটি। এমন সময় উঁচু এলাকার মাটি ধসে পড়ে চাপা পড়ে যায় চারজন।
টনার খবর জানাজানি হতেই দ্রুত আর্থমুভার নামিয়ে মাটি সরিয়ে তিনজনের দেহ বের করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল রোহিত সাহানী, শ্যামল সাহানী ও মানু কুমারের। জখম একজনের হাত ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ টাকার টোপ দিয়ে স্থানীয় কয়েকজনকে কাজে লাগিয়ে ট্র্যাক্টরে করে বালি ও মাটি তোলার কাজ করে মাফিয়ারা। এটা এই এলাকার প্রতিদিনকার ঘটনা। মাটিগাড়ার বিডিও শ্রীবাস মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। এক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এলাকায় যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট আকারে জানানো হবে। ঘটনা ঘটার পর সক্রিয় হয়েছে নবান্নও। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকেও।