আগ্নেয়াস্ত্র–সহ ধৃত প্রাক্তন সেনা জওয়ান বলবিন্দর সিংকে মুক্ত করতে রাজি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে এই ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লি শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও আকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসার তরফে। ফলে নবান্নের সামনে ছেলে সঙ্গে আর অনশনে বসতে হল না ধৃত বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কউরকেও। ৮ অক্টোবর বিজেপি‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিতে হাওড়া ময়দান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন সেনা জওয়ান বলবিন্দরকে।
সূত্রের খবর, আজ, শনিবারই মুক্ত করা হতে পারে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে ধৃত বলবিন্দর সিংকে। বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কউর অনশনে বসবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন। এরপরই রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখা সহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশ করমজিৎতেও এই আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন- পাগড়ি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বাংলার শিখ সমাজ
টুইটে এই বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিয়েছেন আকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসা। টুইটবার্তায় উল্লেখ, 'প্রাক্তন সেনাকর্মী বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কৌরকে ন্যায়বিচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি যে আশ্বাস দিয়েছেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ ধন্যবাদ।' এছাড়াও ওই টুইটে তিনি জানিয়েছেন যে, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কউরের জন্য দুর্গাপুজো উপলক্ষে একটি সালওয়ার সুট পাঠিয়েছেন। যা অত্যন্ত সুন্দর উপহার।'
উল্লেখ্য, বিজেপি‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিতে হাওড়া ময়দান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন সেনা জওয়ান বলবিন্দরকে। হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছিল, আগ্রেয়াস্ত্রটি জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসকের লাইসেন্স প্রাপ্ত। কিন্তু, সেটি অন্যরাজ্য়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও এক্তিয়ান নেই। ফলে বলবিন্দরের কাছে যে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বাংলায় তা 'বেআইনি'। বিজেপির দাবি, দলেরর যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য প্রিয়াংশু পান্ডের দেহরক্ষী বলবিন্দর সিং। তাই তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা মোটেই বেআইনি হতে পারে না।
অন্যদিকে গ্রেফতারির সময় বলবিন্দরের পাগড়ি খুলে যায়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই সেই কাজ করেছে, যা শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত। এর জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে গেরিয়া শিবির। ঘটনার ন্যাবিচার চেয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সহ প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে পুলিশ। তবে ওই ঘটনা ঘিরে রাজনীতির দড়ি টানাটানি চলতে থাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন