পাক চর সংস্থার এজেন্টের মোবাইল থেকে মিলল ভয়ঙ্কর তথ্য। গঙ্গার দুই পাড়ের শহরজুড়ে আতঙ্ক। নড়েচরে বসেছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগে পুলিশ পাক এজেন্ট ভক্ত বংশী ঝা-কে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জেরা করে ও তাঁর মোবাইল ঘেঁটে একের পর এক হাড় হিম করা তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের সূত্রে খবর, এসটিএফ আধিকারিকরা ধৃত পাক এজেন্ট ভক্ত বংশী ঝা'য়ের মোবাইল থেকে একটি বিশেষ অ্যাপ উদ্ধার করেছে। জেরায় উঠে আসে যে, ভক্ত আরুষি শর্মা নামে পাক চর সংস্থার আধিকারিকের হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়েছেন। তদন্তকারীরা নিশাচিৎ যে, আরুষি শর্মা নামটি ভুয়া। জেরায় ভক্ত পুলিশকে জানিয়েছে যে, আরুষি তাঁকে জানিয়েছিল যে, তার বোন সাংবাদিক। তাই কলকাতার ও সংলগ্ন এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার তাঁকে ছবি পাঠাতে হবে। ছবি পাঠানোর জন্য ওই পাক মহিলাই ভক্তকে 'সিগন্যাল' নামে একটি অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছিল। পরে ভক্ত ওই অ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানে কলকাতা ও আশপাশের একাধিক জায়গার ছবি ও ভিডিও পাকিস্তানে পাঠায়। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই ভিডিও ও অডিও কল করে পাক চরদের সঙ্গে ভক্ত বংশী ঝা কথাও বলতেন।
পাক চর সংস্থার তরফে ভক্ত বংশী ঝা-কে যেসব ছবি পাঠাতে বলা হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য বালি ব্রিজ। গঙ্গার দুই পারের দুই শতাব্দী প্রাচীন শহর কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপণকারী অন্যতম সেতু হল বালি ব্রিজ। ভক্তর মোবাইল ঘেঁটে দিল্লির তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবিও উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন কোণ থেকে ওই ছবি রয়েছে। কলকাতা বা আশপাশের আর কোন কোন জায়গার ছবি পাক তর-দের পাঠানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নাশকতার জন্য অনেক সময়ই আইএসআই পাক অথবা বাংলাদেশি জঙ্গি সংস্থার সাহায্য নেয়। এক্ষেত্রে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এ রাজ্যের দুই প্রাচীন শহরে নাশকতার ছক কষতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। ফলে ছবি পাচারের বিষয়টি জানার পর বালি ব্রিজের নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে হাওড়া ও বারাকপুর কমিশনারেট।