দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে হলস্থূল কাণ্ড। মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরে জাল ফেলেছিলেন কয়েকজন। সেই জালেই উঠে এল আস্ত বেশ কয়েকটি ব্যালটবক্স। ভোটের এতদিন পর শেষমেশ খোঁজ মিলল ব্যালটবক্সের।
পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের মুখে পুকুর থেকে পরপর ব্যালটবক্স উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউেতার তুঙ্গে। ব্যালটবক্স পুকুরে ছুঁড়ে ফেলার ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। পাল্টা সোচ্চার গেরুয়া দলও। ভোট লুঠ হতে দেখে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যালটবক্স তুলে পুকুরে ফেলেছে বলে পাল্টা দাবি বিজেপির।
জয়নগরের বকুলতলার ময়দা পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এখানে বটতলা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। সেখানে চলে ভোটগ্রহণ। তবে গত ৮ জুলাই পঞ্চয়েত ভোটের দিন এখানে তুমুল অশান্তি হয়। এই বুথেই বোমাবাজি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছাপ্পাভোট এমনকী ব্যালট পেপার লুঠের অভিযোগও ওঠে। ওই দিনই ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালটবক্স তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শেষমেশ ওই বুথে গত ১০ জুলাই পুনর্নির্বাচন হয়েছিল।
আরও পড়ুন- তুখোড় কায়দায় ধুঁয়াধার অফার! ফাঁদে পা দিতেই ঘটি-বাটি বিক্রির জোগাড়!
আজ ওই এলাকার পুকুরে জাল ফেলেছিলেন কয়েকজন। সেই জালেই পুকুর থেকে কয়েকটি ব্যালটবক্স উঠেছে। মাছ ধরার জালে ব্যালটবক্স উঠেছে জেনে পুকুর পাড়ে ভিড় জমে যায়। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।
আরও পড়ুন- কিলবিল করে ঘুরছে ওটা কী? সিসি ক্যামেরায় ছবি দেখেই তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটি
এবিষয়ে প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা দেবকুমার নষ্কর বলেন, 'বিজেপি ও এসইউসিআই জোট করে ভোট করিয়েছিল। ভোটের দিন দুপুর ১২টা পর তৃণমূলে ভোট পড়ছিল। ওরা তখনই তাণ্ডব শুরু করে। ওই তাণ্ডব আমরা সামাল দিতে পারিনি। বিজেপির ছেলেরা ব্যালটবক্স বের করে এনে পুকুরে ফেলে দিয়েছিল। আরও দুটো পার্টে এসইউসিআইয়ের ছেলেরো ব্যালটপেপার পুড়িয়ে দিয়েছে।'
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়েছে বিজেপি। স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী কৃষ্ণদাস নষ্কর বলেন, 'তৃণমূল ভোট লুঠ করেছে। আমজনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যালটবক্স পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ওরা একতরফাভাবে ভোট করেছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে।'