বিজেপির নবান্ন অভিযানে পাগড়িকাণ্ডে বলবিন্দর সিংকে নিয়ে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। পাগড়ি খোলার বিরোধিতা করে পথে নেমেছে শিখদের একাংশ। রবিবার আগ্নিয়াস্ত্র মামলায় ফের পুলিশ হেফাজত হল বলবিন্দরের। সঙ্গী আরও দুজনের বিরুদ্ধে একই নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত।
বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন বলবিন্দর সিং। রবিবার বলবিন্দর-সহ তিন ধৃতকে 'তদন্তের স্বার্থে' একদিন আগেই হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশে দেন বিচারক। অভিযানের ঘটনায় বিজেপি নেতা প্রিয়াংশু পান্ডে, তাঁর দেহরক্ষী বলবিন্দর সিং-সহ মোট ৮ জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এছাড়াও বিজেপির আরও ৭ জন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। রবিবার ধৃতদের মধ্যে প্রিয়াংশু পান্ডে, বলবিন্দর সিং, আনন্দ সোনকরকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থে আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে একদিন আগেই এই তিনজনকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের জন্য বলবিন্দরকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তাই তাঁকে ফের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হল।
আরও পড়ুন পাগড়ি বিতর্কে অযথা রাজনীতি কেন? নাম না করে বিজেপিকে তোপ স্বরাষ্ট্র দফতরের
বলবিন্দরের পাগড়ি খোলার বিতর্ক অমৃতসর, দিল্লি আগেই পৌঁছেছিল। এবার দিল্লি থেকে শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির একটি প্রতিনিধিদল এদিন হাওড়ায় আসে। বলবিন্দরকে আদালতে তোলার সময় এঁরা কোর্ট লক আপের সামনে হাজির হন। সংগঠনের সভাপতি মনিন্দর সিং সিরসা জানান, যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা বলবিন্দর সিংকে মারধর করে পাগড়ি খুলে নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে বলবিন্দরকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবিও করেছেন তাঁরা। মনিন্দর সিং আরও জানান, বলবিন্দর সিং জম্মু কাশ্মীরে আধাসেনা হিসেবে দেশের জন্য লড়াই করেছেন। অথচ তাঁকেই এভাবে ফাঁসানো হল।
এই প্রতিনিধিদলের দাবি, নবান্ন অভিযানের দিন বলবিন্দর শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষীর ডিউটি করতে এসেছিলেন। উল্লেখ্য, বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে যাওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবারই বলবিন্দরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্য যুব মোর্চার নেতা প্রিয়াংশু পান্ডেকেও। প্রিয়াংশুরই নিরাপত্তারক্ষী বলবিন্দর। বলবিন্দরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বেই দাবি করা হয়েছে, ওই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও তা শুধুমাত্র জন্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলা এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন