আইন অমান্য কর্মসূচির নামে বৃদ্ধ ব্যবসায়ীর ফলের দোকানে কার্যত 'লুঠতরাজ' একাংশের বাম কর্মী-সমর্থকদের। বুধবার বিকেলে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাস্তার পাশের এক ফলের দোকান থেকে অবাধে কলা 'লুঠ'। দলের আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে কার্জন গেট চত্বরে থাকা এক ফল ব্যবসায়ীর দোকান থেকে কলার ছড়া পেড়ে নিয়ে গেলেন বেশ কয়েকজন বাম কর্মী-সমর্থক। এই ঘটনার নিন্দায় সরব শহরবাসী, ক্ষুদ্ধ তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও।
বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে বুধবার বিকেলে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বর। বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশকর্মীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করেই ইট, পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন বাম কর্মীরা।
ওই খণ্ডযুদ্ধ চলার সময়েই একদল বাম কর্মী পৌঁছে যান কার্জন গেটের পাশে থাকা এক বৃদ্ধের ফলের দোকানে। তারপরেই দেখা যায় ওই বাম কর্মী-সমর্থকরা ফলের দোকান থেকে কলার ছড়া ছিনিয়ে নিতে শুরু করে দেন। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। প্রত্যেকেই বাম কর্মী-সমর্থকদের একাংশের এহেন আচরণে যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- বামেদের আইন অমান্য ঘিরে ধুন্ধুমার বর্ধমানে, উপড়ে ফেলা হল বিশ্ব বাংলার লোগো
কলা লুঠের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন তারাঁ তাঁদের পার্টির লোকজন নন। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, ''আমাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষের কোনও বিরোধ নেই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছি। তৃণমূলের পুলিশ আমাদের মারধর করেছে। এমনকী আমাদের দলের মহিলাদেরও পুলিশ মারধর করেছে।''
যদিও একাংশের বাম কর্মীদের এই আচরণে বেজায় চটেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ''এটাই সিপিএমের আসল রূপ। ১১ সালের পর থেকে সিপিএমকে চোখে দেখা যেত না। ওঁদের দেখতে আলিপুর চিড়িয়াখানায় যেতে হত। হঠাৎ করে ওঁরা এখন চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়েছেন। তাই কলাতো লুঠ করবেনই।''