গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার বাংলাদেশি নাগরিক। শুক্রবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূলের আলোরানি সরকার। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। পাল্টা বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, আলোরানি ভারতের নাগরিক নন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। সেদেশের ভোটার লিস্টে তাঁর নাম রয়েছে। একথা তুলে ধরে আদালতে নথি পেশ করে বিজেপি। যার বিরুদ্ধে তেমন কোনও নথি আদালতে পেশ করতে ব্যর্থ হন তৃণমূলের আলোরানি সরকার। এর ফলে ২০২২ সালের ২২ মে আলোরানির আবেদন খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।
শেষ পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলোরানি। সেখানে বিজেপির তরফে জানানো হয়, আলোরানি যে বাংলাদেশের নাগরিক তা প্রমাণিত। আর ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নেই। ফলে আলোরানি ভারতের নাগরিক হতে পারেন না। তাই তাঁর ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করারও অধিকার নেই। অবশেষে ডিভিশন বেঞ্চও আলোরানির আবেদন খারিজ করে এদিন রায় জানাল যে, গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার বাংলাদেশি নাগরিক।
এই রায়ের পর আলোরানি বলেছেন, 'ভোটে লড়ার সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি নাগরিকত্বের নথি জমা করেছি বলেই তো ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাড়পত্র পেয়েছিলাম। আসলে আমি তৃণণূল করি বলে বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এইসব করছে।'