রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে কোথাও বিস্ফোরণ ঘটলেই তদন্ত করতে চলে আসছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ। দাবি করছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে। আর, বোমাবাজিতে কারও মৃত্যু হলেই বিরোধী দলগুলো দাবি করছে, বাংলা বোমা শিল্পের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। গত কয়েকবছরে এমন নজিরেরই সাক্ষী হয়েছে বাংলা।
রবিবার এই সব অভিযোগের জবাব দিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সৌগত রায়। রীতিমতো বোমা তৈরির ফরমুলা জানিয়ে সৌগত রায়ের দাবি, এরাজ্য বোমা শিল্পের আঁতুড়ঘর হওয়া দূর। বোমায় অগ্রগতিই করেনি। বরং, বিজ্ঞানে এরাজ্য অগ্রগতি করেছে।
সৌগত রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, 'একটি কৌটোর মধ্যে নারকেলের দড়ি পেঁচিয়ে পটাশিয়াম ক্লোরেট, পটাশ আর আর্সেনিক ট্রাই সালফাইড দিয়ে বোমা তৈরি হয়।' তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, বাম আমল তো বটেই। তার আগে কংগ্রেসের জমানা। আর, তারও আগে থেকে এভাবেই বোমা তৈরি হত। সুতরাং, বাংলা বোমা শিল্পে অগ্রগতি করেছে বা বোমা শিল্পের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে বিরোধীরা যা দাবি করছে, সেটা সম্পূর্ণই মিথ্যা।
যদিও সৌগত রায়ের এই মন্তব্যকেই কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএম। রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেন, 'উনি যদি বোমা বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে তো এনআইএতে চাকরি পাওয়া উচিত। একসময় বাংলায় বিপ্লবীরা বোমা বানিয়ে ইংরেজদের ওপর হামলা চালাত। এখন বোমা ভোট লুঠ করতে ব্যবহার হচ্ছে। মানুষকে ভয় দেখাতে ব্যবহার হচ্ছে। ওই মত এক প্রবীণ সাংসদ কীভাবে বোমা বানাতে হবে, সেই শিক্ষা যুবকদের দিচ্ছেন। মনে হয়, রাজ্যের তৃণমূল সরকার আগামী দিনে দুয়ারে বোমা প্রকল্প চালু করবে।'
আরও পড়ুন- আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী রুতুজা লাটকে, মানুষ পাশে আছেন, দাবি উদ্ধবের
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'উনি অধ্যাপক। হাতে হাতে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে এক্সপার্ট, এটা সবাই জানতেন। কিন্তু, উনি যে বোমা তৈরির ফরমুলা দিতেও এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছেন, এটা হয়তো সবাই জানতেন না।'