/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/11/nn.jpg)
চাকরি ফিরে পাওয়া পাঁচ বাঙালি কর্মী।
ইংরেজি না জানার অভিযোগে ৫ জন অস্থায়ী স্টেনোগ্রাফারকে ছাঁটাই করে দিয়েছিল আয়কর বিভাগের কলকাতা দফতর। অথচ প্রত্যেকেই রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছিলেন। অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কলকাতার মিডলটন রো-এর আয়কর দফতরে কাজও শুরু করেছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের এই আচরণের বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে প্রতিবাদে মুখর হয় বাংলাপক্ষ। আর তাতেই কাজ হয়েছে। ছাঁটাই হওয়া পাঁচ অস্থায়ী কর্মীকে ফের কাজে বহাল করেছে আয়কর দফতর।
প্রথম থেকেই সংস্থার কর্তাদের স্মারকলিপি দিয়ে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি করে বাংলাপক্ষ। বেআইনিভাবে বাঙালি কর্মীদের বরখাস্তের প্রতিবাদে গত ১৬ অক্টোবর কলকাতায় আয়কর দফতরে বাংলাপক্ষ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতেই অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করল আয়কর দফতরের কলকাতা শাখা। শুক্রবার বরখাস্ত হওয়া পাঁচ অস্থায়ী কর্মীকেই চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। ছাঁটাই হওয়া পাঁচ কর্মী রিয়া দত্ত, সৌভিক বোস, প্রিয়া দে, রাহুল কুমার সাউ, রুনু আদক প্রত্যেকেই চাকরি ফিরে পেয়েছেন।
বাঙালি বিদ্বেষী মানসিকতা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে শুরু থেকেই দাবি করেছিল বাংলাপক্ষ। সংগঠনের পক্ষে কৌশিক মাইতি বলেছেন, 'বাংলার মাটিতে বাংলা বলতে না পারাটা অযোগ্যতা হতে পারে, ইংরাজী বলতে না পারাটা নয়। তাই কলকাতার দফতর থেকে এই পাঁচ জনের ছাঁটাই অনৈতিক। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সাফল্য সমস্ত সচেতন বাঙালিকেই উৎসর্গ করছি।'
কাজ ফিরে পাওয়া অস্থায়ী কর্মী রিয়া দত্ত বলেন, 'বাংলাপক্ষ না থাকলে ফের কাজ ফিরে পাওয়া সম্ভব ছিল না। বাংলাপক্ষকে ধন্যবাদ। যে অফিসার বরখাস্ত করেছিলেন তিনি নিজেই তো বাংলা জানেন না। অথচ আমরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু, বারংবার বলা হয়েছে আমরা অযোগ্য। এই অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না।'
আগামিদিনেও এই ভাবেই যে কোনও বিপদে বাঙালির পাশে থাকতে চায় বাংলাপক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন