Bangladesh Crisis: পুড়ছে বাড়িঘর, লুঠ-খুন-ধর্ষণ, ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশে, প্রাণভয়ে ভারতে বহু মানুষ
Bangladesh Crisis: মালদার বাসিন্দা সুশান্ত সরকার গিয়েছিলেন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতে। এদিন সকালে আত্মীয়দের নিয়ে ফিরে এসে সুশান্তবাবু বলেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কিছু লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের দেশে চলে এসেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ।'
Bangladesh Crisis: মালদার বাসিন্দা সুশান্ত সরকার গিয়েছিলেন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতে। এদিন সকালে আত্মীয়দের নিয়ে ফিরে এসে সুশান্তবাবু বলেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কিছু লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের দেশে চলে এসেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ।'
Bangladesh Crisis: ভাঙা হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি।
Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের রাস্তায় নেই সেনাবাহিনী। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পুলিশের বিভিন্ন সংগঠন। সর্বত্র চলছে লুঠ, ধর্ষণ, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করেই বহু ভারতীয়রা পালিয়ে আসছে এপারে। এমনকি বাংলাদেশি অনেক মানুষেরা চিকিৎসার কথা বলেই তড়িঘড়ি ভারতে প্রবেশ করছে।
Advertisment
বুধবার সকাল থেকেই মালদা জেলার মহদিপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। যেখানে অনেক বাংলাদেশি পরিবার নিয়ে চিকিৎসার নাম করে ভারতের মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন। তাঁরাই বলছেন, 'এরকম বাংলাদেশ আমরা চাইনি। শেখ হাসিনা তো পদত্যাগ করেছে। কোটা সংস্কারও মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। তারপরও আন্দোলন থেমে থেমে নেই। সর্বত্রই লুঠ চলছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে বাড়িঘর, দোকানপাট। পুকুরের মাছ থেকে জমির ফসল সব লুঠ করছে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় আগুন জ্বলছে। খুন হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছি। রাস্তায় সেনাবাহিনী নেই, পুলিশ নেই। নিরাপত্তার সর্বত্রই অভাব রয়েছে।' এই ঘটনার পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেও এদিন ভারতে প্রবেশকারী বাংলাদেশি বেশ কিছু নাগরিকেরা জানিয়েছেন।
মালদার বাসিন্দা সুশান্ত সরকার গিয়েছিলেন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতে। এদিন সকালে আত্মীয়দের নিয়ে ফিরে এসে সুশান্তবাবু বলেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কিছু লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের দেশে চলে এসেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ।'
বাংলাদেশের এক নাগরিক রাজশাহীর বাসিন্দা মহম্মদ হেলালউদ্দিন বলেন, হাসিনা সরকার তো পদত্যাগ করেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি। আমার তিনটা পুকুরের মাছ লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। বাড়িঘর ভাঙচুর করে দিয়েছে। ওরা বাড়ির সদস্যদের খুন করার চেষ্টা করেছিল। অনেক আকুতি মিনতি করাই প্রাণের রক্ষা পেয়েছি। চিকিৎসার নাম করে ভারতে পালিয়ে এসেছি। দেশে ফিরতে পারব কিনা জানি না। এরকম বাংলাদেশ আমরা চাইনি। রাস্তায় কোনও সেনাবাহিনী নেই। সর্বত্র লুঠপাট চলছে। মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেখানে সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজকের বাংলাদেশকে শেষ করে দেওয়ার পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেই মনে করছি। জানি না কবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঠিক হবে।
এরকম আরও অনেকেই বাংলাদেশ ফেরত ভারতীয়রা একের পর এক উত্তাল পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। ওই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বিশাল দুর্যোগ নেমে এসেছে বলেও অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বুধবার বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও কাঁচা সবজি রফতানির শুরু হল। মহদিপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তের শুল্ক অধিকর্তা দেশদুলাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, সীমান্তের ওপারে এখনও দেড়শোটি ভারতীয় লরি আটকে রয়েছে। সেগুলোই আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ওপারে আটকে থাকা লরিচালক ও খালাসিরা প্রত্যেকে চলে এসেছেন। পরিস্থিতি বুঝে ভারত থেকে কিছু কাঁচা সবজি যেমন লঙ্কা, পিঁয়াজ রফতানির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভাল নেই। এব্যাপারে ওপারের শুল্ক দফতর এবং সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তবে রফতানির ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা হবে না বলে ওপারের প্রশাসন জানিয়েছে। সেইসব পরিস্থিতি তদারকি করে সাময়িক কিছু কাঁচামাল রফতানি করা হবে।