Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ইউনূসের! তদন্ত শুরু ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলার। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজ বুনছে ইউনূস সরকার। এবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিটি।
বাংলাদেশের সমস্যা বাড়ছে শেখ হাসিনার। প্রথমে মহম্মদ ইউনূস হাসিনাকে হস্তান্তরের চেষ্টা করেন। এবিষয়ে ভারতের কাছে চিঠিও লেখেন ইউনূস সরকার। এখন নতুন করে তদন্ত শুরু করে শেখ হাসিনাকে আরও চাপে ফেলার চেষ্টা করছে ইউনূস প্রশাসন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের দুর্নীতিদমন কমিটি। এ বিষয়ে সেদেশের সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভারতীয় কোম্পানি জড়িত রয়েছে। এটি নির্মাণ করছে রাশিয়ার সরকারি কোম্পানি রোসাটম। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে রাশিয়ার ডিজাইন করা প্রথম বাংলাদেশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ
প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে । রিপোর্ট অনুযায়ী, হাইকোর্ট দুর্নীতিদমন কমিটিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে 5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করার অভি ভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার করার জন্য একটি রুল জারি করেছে।
উল্লেখ্য ৫ আগস্ট থেকে ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সঙ্গে আছেন তার বোন রেহানাও। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) "মানবতা ও গণহত্যা মত অপরাধের" জন্য হাসিনা এবং একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং সামরিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ। হাসিনা পুত্র এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, "আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। আমরা কখনো কোনও সরকারি প্রকল্পে যুক্ত থাকিনি এবং তা থেকে টাকা হাতানো তো দূরের কথা। আমি ৩০ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছি। আমার মাসি এবং মাসতুতো বোন ৩০ বছরই ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন। স্পষ্টতই এই দুই দেশে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। আমাদের কোনও অফশোর অ্যাকাউন্টও নেই। যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, অত পরিমাণ অর্থ আমাদের মধ্যে কেউ কখনো দেখেনওনি।"