সশস্ত্র বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হলেন ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান। পাল্টা বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশী দুষ্কৃতীর।
মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রায় ৩০ জনেরও সশস্ত্র বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বিএসএফ বাহিনীর ব্যাপক লড়াই হয়। এমনটাই দাবি করেছে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার চৌকি নওগাঁ এলাকায়। বিএসএফের দাবি, নওগাঁয় সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রায় হাফ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পরেছিল বাংলাদেশের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। সেই সময় বিএসএফের কর্তব্যরত কয়েকজন জওয়ান রুখে দাঁড়াই। কিন্তু দুষ্কৃতীরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। এমনকি হাসুয়া দিয়ে বিএসএফের এক জওয়ানকে আক্রমণও করে। এরপর পাল্টা বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি এক চোরাকারবারির। বুধবার ভোরে মৃতদেহটি কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফের ৭০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাংলাদেশির নাম ইব্রাহিম শেখ (২৪)। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থানার ধুলিপারা এলাকায়।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের দেওয়া বিবৃতিতে অনুযায়ী, মৃত বাংলাদেশি চোরাকারবারির কাছ থেকে ১টি মোবাইল, ২টি হাসুয়া এবং ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফ তাদের এলাকা থেকে চোরাকারবারীদের ভারতীয় সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ বন্ধ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজিবি'র (বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ) কাছে প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের ক্ষমতা বাড়াতে মরিয়া মোদী সরকার। কিন্তু এই বাহিনী যে কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন তা প্রমাণিত। বিএসএফ কড়া প্রহরায় ব্যর্থ বলেই সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এপারে প্রবেশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।' পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেছেন, 'এই ঘটনায় প্রমাণিত যে পশ্চিমবঙ্গে চোরাকারবারিদের রেয়াত করা হয়। তাই এ পারে এসে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ঠাঁই নেয়।'
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন