Premium: গরিবের সেবায় প্রাণপাত, প্রান্তিক মানুষকে বিনা পয়সায় হাসপাতালে পৌঁছে দৃষ্টান্ত আলমগীরের

টোটো চালিয়ে দিনে মেরেকেটে আয় বলতে ২০০-২৫০ টাকা। তার মাঝেই একটানা মানুষের সেবায় প্রাণপাত করে চলেছেন আলমগীর।

টোটো চালিয়ে দিনে মেরেকেটে আয় বলতে ২০০-২৫০ টাকা। তার মাঝেই একটানা মানুষের সেবায় প্রাণপাত করে চলেছেন আলমগীর।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
Toto driver, toto ambulence

গরিবের সেবায় প্রাণপাত, প্রান্তিক মানুষকে বিনা পয়সায় হাসপাতালে পৌঁছে দৃষ্টান্ত আলমগীরের

দুঃস্থ রোগীদের বিনে পয়সায় হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন ছাতনার টোটোচালক আলমগীর শেখ। বাবার আদর্শ কে পাথেয় করে জীবে প্রেমকেই ব্রত হিসাবে সামনে রেখেছেন তিনি। তার এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ।

Advertisment

সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এমন পরিস্থিতিতে টোটো টুকুই সম্বল। টোটো চালিয়ে দিনে মেরেকেটে আয় বলতে ২০০-২৫০ টাকা। তার মাঝেই একটানা মানুষের সেবায় প্রাণপাত করে চলেছেন বাঁকুড়ার ছাতনার ১ নং অঞ্চলের কুমারগাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আলমগীর শেখ। সকাল থেকে উপার্জনের আশায় টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু রাস্তায় কোন অসহায় রোগীকে দেখলেই বিনামূল্যে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তিনি। এর জন্য টোটোর পিছনে লাগিয়েছেন একটি ব্যানারও। তাতে উল্লেখ করা আছে আলমগীরের ফোন নম্বরও। রাত বিরেতেও অনায়াসেই মেলে পরিষেবা।

নিজের এমন কর্মকাণ্ড সেভাবে জাহির করতে চান না তিনি। দ্য ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলমগীর বলেন, 'বাবাকে মানুষের জন্য প্রাণপাত করতে দেখেছি। সেই থেকেই মানুষের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই। নিজের বহুমূল্যের গাছ বিক্রি করে টোটো কিনি। কোভিডের পরবর্তী বাজারের অবস্থা এমনিতেই ভাল নয়। আয় বলতে সারাদিনে ২০০-২৫০টাকা। তবে তার মধ্যেও চেষ্টা করি অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে যাতে রোগী মারা না যান। তাই দিনে হোক বা রাতে বিপদে সকলের পাশে আলমগীর ভরসা'।

আরও পড়ুন Premium: একচিলতে কচুরির দোকানেই শুরু স্বপ্নবোনার পালা, M.A পড়ুয়া মৌমিতার লড়াই চমকে দেবে

Advertisment

১১ মাস ধরে একটানা এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন আলমগীর। মাত্র এই ক মাসেই ১০০-১৫০ জন রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন টোটো করে। আলমগীর বলেন, " যতদিন ক্ষমতা থাকবে মানুষের জন্য এভাবেই কাজ করে যাব"।

Bankura Health News E toto