গত ৯ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বা কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে তিন সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে কলকাতায় পাঠানো হয়। সেই কমিটির সদস্যরা হাইকোর্টে ঘুরে, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সিসি ক্যামেরাও খতিয়ে দেখেছিলেন। এরপর দিল্লিতে রিপোর্ট জমা দেয় ওই কমিটি। বিচারপতি মান্থার এজলাসের সামনে বিক্ষোভের জন্য ৯ জন আইনজীবীকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করল বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এরপর বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার শীর্ষ আধিকারিকরা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এজলাসের সামনে বিক্ষোভের দিনই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার পড়েছিল। হাইকোর্ট চত্বরেও পোস্টার দেখা যায়। ভোররাতে ওই পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিচারপতি মান্থার বাড়ির রক্ষীরা। কে ওই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শুরু হয় শাসক বিরোধী টানাপোড়েন।
বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, 'সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। যা হয়েছে তা বিচার ব্যবস্থার পক্ষে অত্যন্ত খারাপ।' কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বলেছেন, 'যেটা হয়েছিল সেটা ভীষণ অন্যায়। প্রতিবাদ হয়েছে। তবে একজন আইনজীবী হিসাবে কোনও আইনজীবীর সাসপেনশন চাইছি না।'
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে খারাপ লাগছে। তবে, এই পদ্ধতিতে স্বাগত জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষ বিচার পেতে আদালতে আসেন। সুপ্রিম কোর্ট বারংবার বলেছে যে, কোনও আইনজীবীর অধিকার নেই আদালতের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ানো।’
তৃণমূল মুখপাত্র ও আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেবের কথায়, 'ভারতীয় আইনের কোন ধারায় এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এলো কলকাতায়? ওরা আসলে আইনজীবীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।'