Bardhaman News: অন্যায় ও অনৈতিক কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বোচ্চার হতেই মুখ খুলে ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। শুধু মুখ খোলাই নয়, তিনি কার্যত বোমা ফাটিয়ে ছিলেন। আর তার পরেই চেয়ারম্যানকে 'বেড়ি পরাতে' ধরানো হল চিঠি। চিঠি ধরিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই চিঠি এখন বর্ধমানে রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
চিঠিটি থাকা তারিখ দেখে বোঝা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় চিঠিটি গত ২৮ জুন তারিখে লিখেছিলেন। পরেশ চন্দ্র সরকারকে পাঠানো চিঠিতে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'বর্ধমান শহরে অবৈধ নির্মাণ, পুকুর ভরাট ও জবর দখলের বিষয়ে আপনি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, তা আমার নজরে আসে। সংবাদ পত্র থেকে জানতে পারলাম আপনি বলেছেন, 'শাসক দলের প্রভাবশালীদের মদত ছাড়া এসব হয় না। আপনার কাছে অনুরোধ যে সমস্ত প্রভাবশালীদের কথা বলেছেন তাদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ দলের কাছে দাখিল করুন।'
এই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেনিয়ে চেয়ারম্যান পরেশ সরকার শনিবার বলেন, “ দল ও দলের সভাপতি আমার কাছে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। এটা একেবারেই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি তাকে সব জানাবো। তবে এই নিয়ে এর বেশি আমি কিছু বলতে চাই না"।
লোকসভা ভোটে পুর এলাকায় তৃণমূলের ভোটের ফল খারাপ হতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুকুর ভরাট থেকে শুরু করে জবর দখল ও অনৈতিক কাজে মদত দেওয়া রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণ। আর ঠিক এমনই আবহে বর্ধমান শহরে অনৈতিক কাজ ও দুর্নীতি নিয়ে কার্যত বোমা ফাটিয়েছে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। দলের প্রভাবশালীদের নিশানা করে পরেশ সরকার বলেন, “শহরে এখন কাজ করাই ভীষণ কঠিন। যেখানেই হাত দিতে যাওয়া হবে কেউটের ছোবল খেতে হবে"। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
লোকসভা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বর্ধমান শহর এখন পদ্ম কাঁটায় বিদ্ধ। বর্ধমান পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯ টিতে পদ্ম ফুটেছে। আর সেটাই যেন বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে তৃণমূল শিবিরে। যার বহিপ্রকাশ ঘটে গিয়েছে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানের কথাতেই। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজ্যজুড়ে বেড়েছে পুলিশের অতিসক্রিয়তা। এমন আবহে বুধবার বর্ধমান শহরের একটি স্কুলে অনুষ্ঠানে গিয়ে পুর চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বর্ধমান শহরে হওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “যাঁরা দুর্নীতি করে এমন মানুষের সঙ্গে বেশ কিছু অসামাজিক লোক যুক্ত থাকে। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাগজে দেখি পুলিশ খুব সক্রিয়, বালি চোরদের ধরছে। তবে ছবি দেখতে চাইলে আমি দেখাতে পারি যেখান থেকে আমাদের গ্যালারি থেকে জল উঠছে তার চারপাশে নৌকাগুলো ঘুরছে, আর মেশিনে বালি তুলছে। এরকম যদি ছ'মাস চলে তাহলে তিনশো কোটি টাকা ব্যয়ে অম্রুত প্রকল্পের গ্যালারি ভেঙে পড়বে। আর জল উঠবে না"।
আরও পড়ুন : < India Book of Records: ‘নজিরবিহীন সাফল্য’ বঙ্গ তনয়ার!তাক লাগানো প্রতিভায় ছিনিয়ে নিলেন ‘শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট’ >
পুরপ্রধান পরেশ এও বলেছেন, "বেআইনী নির্মাণ একজন সাধারণ মানুষ করতে পারে না। তিন তলা থেকে চার তলা এমনি করতে পারে না। নিশ্চয় মদত আছে। হয় তার টাকার জন্য পারে, না হয় কারও মদত আছে। পুকুর ভরাট 'খুব লাভ জনক’ ব্যবসা। একটা পাঁচ কাটা ছ’কাটা পুকুর যদি ভরাট করতে পারে তাহলে এক কোটি টাকার সম্পত্তি। কোন রকমে ভরাট করতে পারলেই হল। অথচ ডোবাটা থেকে তার কিছু রিটার্ন নাই। এখন এই 'কুয়েদের’ কাছেই ভীড়। তারা বেআইনি নির্মাণ করিয়ে দিতে পারে, তারা বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট করিয়ে দিতে পারে, সরকারি জমি দখল করিয়ে দিতে পারে। রাস্তাঘাট হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়া নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, "সব কিছুতেই দুর্নীতিতে ভরে গেছে। জিটি রোডের পাশে সুন্দর করে পাথরের ফুটপাত তৈরি করা হলো। কিন্তু সব ফুটপাত বন্ধ। ফুটপাত জুড়ে চলছে রান্না, খাওয়া-দাওয়া থাকা। আর ধরতে গেলেই বলছে পেটে লাথি মারছে।"
আরও পড়ুন : < IRCTC: IRCTC টিকিট বুকিং নিয়ে বিরাট আপডেট, পুজোর আগেই যাত্রীদের সাবধান করল রেল >
এই সব কিছুতেই কারোর না কারোর লোকের মদত আছে বলেও দাবি করেছেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তাঁর কথায়, "জেলখানা মোড় হয়ে বর্ধমান ইউনিভার্সিটির হস্টেল মোড় অবধি গেলে দেখা যাবে দু'পাশে দোকান বসে গেছে। এরা কারা? এরা কেউ বর্ধমানের লোক নয়, বাইরে থেকে এনে টাকার বিনিময়ে তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের বসার কারণেই যানজট হচ্ছে। তার জন্যই সাধারণ মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের ধরতে গেলে দেখা যাবে এক একটা ’কেউটে সাপের’ বাচ্চা। কেউ বলে আমার পিছনে অমুক কাকা আছে। আবার কেউ অমুক দাদা আছে, অমুক মামা আছে, সবার পিছনেই একটা না একটা লোক আছে। শুধg আমার পিছনে কেউ নেই। কাজ করাই এখন ভীষণ কঠিন।" যেখানেই হাত দিতে যাওয়া হবে ছোবল খেতে হবে বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার।
এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “পরেশ চন্দ্র সরকার নিজেই তো পৌরসভার চেয়ারম্যান। সুতরাং কিছু অনিয়ম হলে তার দায় তারই। কে দাদা, কে অনিয়ম করছে ,সেটা জানতে চেয়েছি। দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
Bardhaman Municipality: প্রকাশ্যে 'বোমা' ফাটিয়ে দলের রোষে তৃণমূলের চেয়ারম্যান! 'সবক' শেখাতে কড়া চিঠি
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
Follow Us
Bardhaman News: অন্যায় ও অনৈতিক কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বোচ্চার হতেই মুখ খুলে ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। শুধু মুখ খোলাই নয়, তিনি কার্যত বোমা ফাটিয়ে ছিলেন। আর তার পরেই চেয়ারম্যানকে 'বেড়ি পরাতে' ধরানো হল চিঠি। চিঠি ধরিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই চিঠি এখন বর্ধমানে রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
চিঠিটি থাকা তারিখ দেখে বোঝা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় চিঠিটি গত ২৮ জুন তারিখে লিখেছিলেন। পরেশ চন্দ্র সরকারকে পাঠানো চিঠিতে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'বর্ধমান শহরে অবৈধ নির্মাণ, পুকুর ভরাট ও জবর দখলের বিষয়ে আপনি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, তা আমার নজরে আসে। সংবাদ পত্র থেকে জানতে পারলাম আপনি বলেছেন, 'শাসক দলের প্রভাবশালীদের মদত ছাড়া এসব হয় না। আপনার কাছে অনুরোধ যে সমস্ত প্রভাবশালীদের কথা বলেছেন তাদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ দলের কাছে দাখিল করুন।'
এই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেনিয়ে চেয়ারম্যান পরেশ সরকার শনিবার বলেন, “ দল ও দলের সভাপতি আমার কাছে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। এটা একেবারেই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি তাকে সব জানাবো। তবে এই নিয়ে এর বেশি আমি কিছু বলতে চাই না"।
লোকসভা ভোটে পুর এলাকায় তৃণমূলের ভোটের ফল খারাপ হতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুকুর ভরাট থেকে শুরু করে জবর দখল ও অনৈতিক কাজে মদত দেওয়া রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণ। আর ঠিক এমনই আবহে বর্ধমান শহরে অনৈতিক কাজ ও দুর্নীতি নিয়ে কার্যত বোমা ফাটিয়েছে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। দলের প্রভাবশালীদের নিশানা করে পরেশ সরকার বলেন, “শহরে এখন কাজ করাই ভীষণ কঠিন। যেখানেই হাত দিতে যাওয়া হবে কেউটের ছোবল খেতে হবে"। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
লোকসভা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বর্ধমান শহর এখন পদ্ম কাঁটায় বিদ্ধ। বর্ধমান পুরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯ টিতে পদ্ম ফুটেছে। আর সেটাই যেন বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে তৃণমূল শিবিরে। যার বহিপ্রকাশ ঘটে গিয়েছে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যানের কথাতেই। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজ্যজুড়ে বেড়েছে পুলিশের অতিসক্রিয়তা। এমন আবহে বুধবার বর্ধমান শহরের একটি স্কুলে অনুষ্ঠানে গিয়ে পুর চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বর্ধমান শহরে হওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “যাঁরা দুর্নীতি করে এমন মানুষের সঙ্গে বেশ কিছু অসামাজিক লোক যুক্ত থাকে। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাগজে দেখি পুলিশ খুব সক্রিয়, বালি চোরদের ধরছে। তবে ছবি দেখতে চাইলে আমি দেখাতে পারি যেখান থেকে আমাদের গ্যালারি থেকে জল উঠছে তার চারপাশে নৌকাগুলো ঘুরছে, আর মেশিনে বালি তুলছে। এরকম যদি ছ'মাস চলে তাহলে তিনশো কোটি টাকা ব্যয়ে অম্রুত প্রকল্পের গ্যালারি ভেঙে পড়বে। আর জল উঠবে না"।
আরও পড়ুন : < India Book of Records: ‘নজিরবিহীন সাফল্য’ বঙ্গ তনয়ার!তাক লাগানো প্রতিভায় ছিনিয়ে নিলেন ‘শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট’ >
পুরপ্রধান পরেশ এও বলেছেন, "বেআইনী নির্মাণ একজন সাধারণ মানুষ করতে পারে না। তিন তলা থেকে চার তলা এমনি করতে পারে না। নিশ্চয় মদত আছে। হয় তার টাকার জন্য পারে, না হয় কারও মদত আছে। পুকুর ভরাট 'খুব লাভ জনক’ ব্যবসা। একটা পাঁচ কাটা ছ’কাটা পুকুর যদি ভরাট করতে পারে তাহলে এক কোটি টাকার সম্পত্তি। কোন রকমে ভরাট করতে পারলেই হল। অথচ ডোবাটা থেকে তার কিছু রিটার্ন নাই। এখন এই 'কুয়েদের’ কাছেই ভীড়। তারা বেআইনি নির্মাণ করিয়ে দিতে পারে, তারা বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট করিয়ে দিতে পারে, সরকারি জমি দখল করিয়ে দিতে পারে। রাস্তাঘাট হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়া নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, "সব কিছুতেই দুর্নীতিতে ভরে গেছে। জিটি রোডের পাশে সুন্দর করে পাথরের ফুটপাত তৈরি করা হলো। কিন্তু সব ফুটপাত বন্ধ। ফুটপাত জুড়ে চলছে রান্না, খাওয়া-দাওয়া থাকা। আর ধরতে গেলেই বলছে পেটে লাথি মারছে।"
আরও পড়ুন : < IRCTC: IRCTC টিকিট বুকিং নিয়ে বিরাট আপডেট, পুজোর আগেই যাত্রীদের সাবধান করল রেল >
এই সব কিছুতেই কারোর না কারোর লোকের মদত আছে বলেও দাবি করেছেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তাঁর কথায়, "জেলখানা মোড় হয়ে বর্ধমান ইউনিভার্সিটির হস্টেল মোড় অবধি গেলে দেখা যাবে দু'পাশে দোকান বসে গেছে। এরা কারা? এরা কেউ বর্ধমানের লোক নয়, বাইরে থেকে এনে টাকার বিনিময়ে তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের বসার কারণেই যানজট হচ্ছে। তার জন্যই সাধারণ মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের ধরতে গেলে দেখা যাবে এক একটা ’কেউটে সাপের’ বাচ্চা। কেউ বলে আমার পিছনে অমুক কাকা আছে। আবার কেউ অমুক দাদা আছে, অমুক মামা আছে, সবার পিছনেই একটা না একটা লোক আছে। শুধg আমার পিছনে কেউ নেই। কাজ করাই এখন ভীষণ কঠিন।" যেখানেই হাত দিতে যাওয়া হবে ছোবল খেতে হবে বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার।
এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “পরেশ চন্দ্র সরকার নিজেই তো পৌরসভার চেয়ারম্যান। সুতরাং কিছু অনিয়ম হলে তার দায় তারই। কে দাদা, কে অনিয়ম করছে ,সেটা জানতে চেয়েছি। দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।