New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/barkati.jpg)
(বাম দিক থেকে) তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি এবং বরকতি। এক্সপ্রেস ফাইল ফটো: পার্থ পাল।
আনোয়ার আলি জানান, বোর্ডের আইনি বিভাগের উপদেশ নিয়ে বরকতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছেন তাঁরা।
(বাম দিক থেকে) তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি এবং বরকতি। এক্সপ্রেস ফাইল ফটো: পার্থ পাল।
টিপু সুলতান মসজিদের বহিষ্কৃত ইমাম বরকতি পদে থাকাকালীন একাধিক বেআইনি 'নিকাহ' করিয়েছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটতে চলেছে টিপু সুলতান মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা 'ওয়াকফ এস্টেট অফ প্রিন্স গোলাম মহম্মদ'।
বরকতির বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
কলকাতার ধর্মতলায় টিপু সুলতান মসজিদের ট্রাস্টি বোর্ডের পৃষ্ঠপোষক তথা ম্যানেজার শাহাজাদা আনোয়ার আলির অভিযোগ, "সৈয়দ মহম্মদ নুরুর রহমন বরকতি তাঁর অফিসে (ইমাম থাকাকালীন) যে ম্যারেজ রেজিস্টার রাখতেন সেটি বেআইনি। কারণ, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক বিয়ের পর এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই একটি পৃথক ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বরকতি কখনও এই নিয়ম মানেননি। এমনকী তাঁকে বহিষ্কার করার পর এখনও তিনি কলকাতার চাঁদনী চক এলাকায় নিজের অফিসে বসে ওই একই কাজ করে চলেছেন। সে জন্য, তাঁর তত্বাবধানে হওয়া সব বিয়েই অবৈধ।" এরপরই আনোয়ার আলি জানান, বোর্ডের আইনি বিভাগের উপদেশ নিয়ে বরকতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছেন তাঁরা।
বরকতি কি অনধিকার চর্চা করেছেন?
আনোয়ার আলির দাবি, কোনও মসজিদের ইমাম কেবল মাত্র নমাজে নেতৃত্ব দিতে পারেন। এছাড়া, তাঁর আর কোনও 'ক্ষমতা' নেই। আর বিয়ে দেওয়ার বা নিকাহ পরিচালনার মতো কাজের অধিকার তো তাঁর ক্ষমতার আওতায় পড়ার কথাই নয়। এর জন্য বরং 'কাজি' রয়েছেন। আনোয়ারের অভিযোগ, "এই ইমাম আসলে অর্থ উপার্জনের জন্যই এই কাজ করতেন"।
কী বলছেন বরকতি?
দ্য সানডে এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সৈয়দ মহম্মদ নুরুর রহমন বরকতি বলেন, "আমাকে এইসব বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। আমাকে কেউই কিছু বলেননি"।
কীভাবে সামনে এল এমন ঘটনা?
আনোয়ারের দাবি, বরকতি ইমাম থাকাকালীন বিয়ে হয়েছে এমন বেশ কয়েকজন বোর্ডের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি বলছেন "একজনের অভিযোগ, বরকতির দেওয়া সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে তাঁর স্ত্রীর নাম কিছুতেই অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে না পাসপোর্ট অফিস। অন্য একটি ঘটনায়, বিবাহ বিচ্ছেদের পর মহিলা কিছুতেই স্বামীর থেকে খোরপোষ দাবি করতে পারছেন না। কারণ, বৈধ বিয়ের কোনও নথিই তিনি দেখাতে পারেননি।" আনোয়ারের আরও দাবি, শরিয়তে বলা আছে, দেশের আইন মেনে চলতে হবে। শরিয়তের দোহাই দিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অতি ঘনিষ্ঠ বরকতিকে ২০১৭ সালে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম পদ থেকে বহিষ্কার করে বোর্ড। এক্ষেত্রে আনোয়ার আলির দাবি, "উনি রাজনৈতিক মন্তব্য করতেন। কিন্তু, এটা কখনও ইমামের কাজ হতে পারে না। তিনি নিজেকে মুসলিম নেতা হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, আদতে তিনি একেবারেই তা নন। টিপু সুলতান মসজিদে বসে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করতেন। অথচ, মসজিদ প্রার্থনার জন্য, কারও ব্যক্তিগত কাজের জায়গা নয়"। উল্লেখ্য, একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বরকতি চলতি বছরের গোড়ার দিকে একাধিকবার বলেছেন, বিজেপি টাকা ঢাললে, সংখ্যালঘু ভোট সেদিকেই যাবে।
Read the full story in English