নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে প্রথমে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে, তারপর মৃত্যু নিশ্চিন্ত করতে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে দেহ করাত দিয়ে ৬ টুকরো করে ছিন্নভিন্ন করা হয়। এরপর বস্তাবন্দি করে সাইকেলে নিয়ে গিয়ে একে একে দেহাংশ পুকুরে, রাস্তার পাশে আবর্জনায় ফেলে নিহতের একমাত্র ছেলে ও স্ত্রী।
Advertisment
শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত- টানা কয়েকঘন্টা পুলিশের জেরায় কার্যত ভেঙে পড়ে ছেলে জয় ওরফে রাজু চক্রবর্তী, মা শ্যামলী চক্রবর্তী। তারপরই নিকট আত্মীয়কে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় ছেলে ও মা। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ছেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বারুইপুর থানার মল্লিকপুরের খাসমল্লিক এলাকায় রাস্তার পাশে আবর্জনা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের দু'টো পা। উদ্ধার হয়নি দেহের কোমর ও দু'টি হাত। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুস্পা বলেন, 'মদ্যপ অবস্থায় বাবার নিয়মিত অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি ছেলে। ছেলের কাজে মদত দিয়েছে মা।'
গত ১৪ নভেম্বর ঘটনার সুত্রপাত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে- প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। সেই সময় ছেলে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা বাবার কাছে চায়। কিন্তু বাবা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে উল্টে গালিগালাজ করে ছেলেকে। মা প্রতিবাদ করলে মাকেও গালিগালাজ দেয় উজ্জ্বলবাবু। এতেই ছেলে রেগে গিয়ে গর্জে ওঠে। উজ্জ্বলবাবু ছেলেকে চড় থাপ্পড় মারে। এরপরেই ছেলে ধাক্কা মেরে বাবাকে মাটিতে ফেলে দেয়। গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে দেয়। তারপর মা ও ছেলে ভাবে দেহ নিয়ে কী করবে! প্রতিবেশীরা ঘুনাক্ষরে যেন জানতে না পারে সেই সন্দেহও ছিল তাঁদের। এরপর দেহ বাথরুমে নিয়ে হ্যাক্সো করাত দিয়ে কাটে। দেহ ৬ টুকরো করা হয়। দু'টি পা, কোমর, হাত, কোমর থেকে মাথা টুকরো করা হয়। তারপর তিনবারের চেষ্টায় মা ও ছেলে দেহ বস্তাবন্দি করে প্রথমে ডিহি মদনমল্ল তারপর খাসমল্লিকে ফেলা হয়।