বাসন্তীতে সাতসকালে নৃশসং খুন। বাজার থেকে ফেরার পথে তৃণমূলকর্মীকে ঘিরে ধরে পরপর গুলি। গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা তৃণমূলকর্মীকে। তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই হামলা? নাকি খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাসন্তীর তৃণমূলকর্মী জানে আলম মোল্লা। ঠিক সেই সময়ে তাঁকে রাস্তায় ঘিরে ধরে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। মুহূর্তে হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন স্থানীয়রা। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪-৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। গুলি লাগার পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- ‘কষ্টে আছেন কেষ্ট’, আদালতে জামিনের আবেদন অনুব্রতর আইনজীবীর
এদিকে, সাতসকালে এভাবে তৃণমূলকর্মীর উপর হামলার ঘটনা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই খুন। যদিও বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ''বাজার করে বাড়ি যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। পথে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে গুলি করেছে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।''
আরও পড়ুন- ‘ভালো কাজ করলেই হয়রানি, তাই দেশ এগোয়নি’, বাড়িতে CBI হানা নিয়ে মন্তব্য সিসোদিয়ার
এদিকে, তদন্তে নেমে দ্রুত এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যদিও ধৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ধৃতরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক কিনা তাও স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ।