Nusrat Jahan-Sandeshkhali: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে এতদিনে মুখ খুললেন নুসরত জাহান। "দলের নির্দেশ মেনে কাজ করছি। কে কী বলল কিছু এসে যায় না।" নিজের সংসদীয় এলাকার এই তুমুল কাণ্ড প্রসঙ্গে এতদিনে নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিশেষ পোস্ট বসিরহাটের (Basirhat) তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)।
এক্স বার্তায় কী লিখলেন নুসরত?
"এই ধরনের অভিযোগ হৃদয় বিদারক। একজন নারী হিসেবে, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সবসময় আমার দলের নির্দেশ মেনেছি। জনগণের সেবা করেছি। সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সাহায্য পাঠিয়েছেন.. এবং জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নই.. তাই আইন মেনে চলা এবং প্রশাসনকে সমর্থন করা দরকার।"
X বার্তায় তিনি আরও লিখেছেন, "আমি সত্যিকারের অর্থে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবা করেছি, আনন্দের সময়ে, দুঃসময়ে.. আমি আমার দলের নির্দেশ মেনে কাজ করি.. এবং আমি বিশ্বাস করি আমাদের রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে, ভুল কী? সর্বদা নিন্দা করা হবে। আমাদের অবশ্যই একে অপরকে নিশানা করা থেকে বিরত থাকতে হবে .. এবং শান্তি তৈরিতে সাহায্য করার জন্য একত্রিত হতে হবে। বিশৃঙ্খলা নয়। জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার.. বাকিটা কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। যেমনটি আমি আগেই বলেছি.. আমি সেকথারই আবার পুনরাবৃত্তি করব "রাজনীতি করা বন্ধ করুন।"
আরও পড়ুন- TMC Brigade Rally: ক্ষোভের আগুন সন্দেশখালিতে, ফি দিন বিক্ষোভ! এখনই কেন ব্রিগেডে সভা তৃণমূলের?
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। সন্দেশখালির একদা বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড় জমেছে। ফি দিন দ্বীপাঞ্চলের অলি-গলিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। সন্দেশখালি এলাকাটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রেরই তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
তবে সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আজও অবধি দ্বীপাঞ্চলের মাটিতে পা পড়েনি নসুরতের। তা নিয়ে এলাকায় জলঘোলা কম হয়নি। প্রকাশ্যে সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড় জমেছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ করেই সাংসদ হলেও নুসরতকে এখনই সন্দেশখালিতে যেতে নিষেধ করতে পারেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।