সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারীর সাইকেল-সফর। ছবি: অর্পন মণ্ডল।
সরকারি প্রকল্পের সুফল গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে অভিনব কীর্তি বিডিও-র। সাইকেলে চেপে বিডিও নিজেই হাজির গ্রামে-গ্রামে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি-বাড়ি ঘুরে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সাধাররণ মানুষকে বোঝানোর কাজ সারছেন প্রশাসনিক এই কর্তা। এখনও যাঁরা যোগ্য হয়েও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁদের নিজে হাতে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম তুলে দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী।
Advertisment
এলাকার মানুষের কাছে 'দুয়ারে সরকার'-এর সুফল পৌঁছে দিতে সাইকেলে সওয়ার কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে গাড়িও যায় না, সেখানে পায়ে হেঁটে কখনও বা সাইকেলে চেপে মানুষের দুয়ারে এলাকার বিডিও। সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে বোঝানোর পাশাপাশি যাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেননি বা পাননি, তাঁদের নিজে হাতে তুলে দিলেন ফর্ম।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে সাইকেলে ঘুরছেন বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী।
সেই ফর্ম পূর্ণের পর প্রয়োজনীয় নথি-সহ তা কোথায় কোনদিন জমা করতে হবে সেব্যাপারেও স্পষ্ট করে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দিতে দেখা গেল 'বিডিও সাহেবকে'। কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রামের দেউলবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় সাইকেল নিয়ে ঘুরতে দেখা গেল বিডিওকে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই গ্রামে এর আগে কোনওদিন কোনও বিডিও ঢোকেননি। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই নদী থেকে মাছ ও কাঁকড়া সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামের বহু মানুষ বাঘের হামলায় নিহত বা আহতও হয়েছেন।
অনেকে আবার এই সময়টায় মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে গিয়েছেন। সেই পরিবারগুলির কাছেই সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে বিডিও-র এই সাইকেল-সফর। বিডিও-র এমন ভূমিকায় বেশ খুশি বাসিন্দারাও। স্থানীয় বাসিন্দা বিষ্ণুপদ বিশ্বাস ও আব্দুল কাহার লস্কররা জানালেন, বিডিও-র এই উদ্যোগের জেরে এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।