Justice Abhijit Ganguly: শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের (ED Attacked in Sandeshkhali)। প্রহৃত একাধিক গোয়েন্দা। মারমুখী জনতার চাপে পিছু হটতে বাধ্য হন ইডি আধিকারিকরা। ভেঙে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। বেশ কয়েকটি রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কী বলেছেন বিচারপতি? (Justice Ganguly Reacts)
শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পুরো ঘটনা তিনি বিচারপতির সামনে বর্ণনা করেন। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কী ভাবে তদন্ত হবে?'
আরও পড়ুন- সন্দেশখালিতে রক্তাক্ত ইডি: ‘প্ররোচনার ফল’- দাবি তৃণমূলের, ‘গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আক্রমণ’- ফোঁস শুভেন্দুর
সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'শুনলাম, আপনাদের লোকেদের মেরেছে। আপনারা কী করছিলেন? ওদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পারে না?' তখন ওই আইনজীবী জানান, 'ইডির অফিসারদের মেরেছে। দু'জন জখম হয়েছেন।' পাল্টা তখন বিচারপতি বলেন, 'দু'জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠান।'
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া (Kunal Ghosh Reaction)
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে নিন্দায় মুখর তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকর এবং এক্তিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতির চেয়ারকে উনি অপমান করছেন। ওঁর উচিত চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসা। না হলে প্রধান বিচারপতির উচিত ওঁকে সতর্ক করা।'