গত ১০ বছরে শাসক দলের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে জোর শোরগোল। পাল্টা সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের নিশানা করেছেন জোড়া-ফুল নেতৃত্ব। এই ইস্যুতে শাসক-বিরোদী দড়ি টানাটানি চরমে। এবার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী।
গত সপ্তাহে সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশেরই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়েছে। জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পত্তির হিসাবেই তা স্পষ্ট। এই বৃদ্ধি কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে ২০১৭ সালে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিপ্লব কুমার চৌধুরী ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে দুই ব্যক্তি। সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় নাম ছিল তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা ও বিমান বন্দ্যোপাধ্যাদের।
সেই মামলাতেই গত সপ্তাহে ইডি-কে পার্টি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। কেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দেখভালের অন্তর্ভুক্ত করা হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তৃণমূলের মন্ত্রীদের।
এই ইস্যুতে গত বুধবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের চার মন্ত্রী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একতরফা আক্রমণের অভিযোগ তুলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসুরা। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ব্রাত্য বসু দানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, আবু হেনা, নেপাল মাহাত এবং সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, রূপরানি মণ্ডল, তরুণকান্তি ঘোষ, চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতো, মোহিত সেনগুপ্তর মতো নেতাদেরও সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় নাম রয়েছে।