পাক সেনার গুলিতে শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে মমতা সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
সোমবার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার অভিযোগ তুলেছেন যে, শনিবার রাতে তিনি যখন শহিদ সুবোধ ঘোষের বাড়িতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাচ্ছিলেন, সেখানে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় এবং অপমান করে। ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল দুনিয়ায়। শনিবার রাতে শহিদ সুবোধ ঘোষকে দাহ করা হয় নিমতলা বিদ্যানিকেতন স্কুল গ্রাউন্ডে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার আয়োজনও করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, "জনসমক্ষেই পুলিশ আমাকে ঢুকতে বাধা দেয়। অপমান করে। ভীষণই লজ্জাজনক ঘটনা।" যে ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন জগদীপ ধনকড়। তবে রাজ্য সরকারের তরফে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং নদীয়া জেলা প্রশাসনের তরফেও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের এক উচ্চ আধিকারিকের মন্তব্য, "এটা সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছুই নয়। বিজেপি সেটা নিয়েই একটা ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে।"
প্রসঙ্গত, দীপাবলির ঠিক আগে ভারতে হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। আর সেই মতো জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বনাম পাকিস্তানের সেনার মধ্যে চরম যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়ে উরি, দাওয়ার, নওগাঁও, তাংধার, সৌজিয়ান, কেরান, মাচিল, গুরেজ- একের পর এক সেক্টর জুড়ে শুরু হয় নিরন্তর গুলির লড়াই। আর তাতেই সুদূর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাক সেনার গুলিতে শহিদ হয়েছেন গ্রামের ছেলে সুবোধ ঘোষ। গ্রামের ছেলের মৃত্যুর খবর আসতেই শোকস্তব্ধ রঘুনাথপুর গ্রাম।