শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব বিজেপি। এরমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ইডি-র জালে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি নগদ সহ বহুমূল্যের সোনা, রূপো, স্থাবর সম্পত্তির দলিল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পার্থকে দলীয় সব পদ ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও সুর চড়িয়েছে বিরোধী বিজেপি।
প্রতিবাদে শনিবার হাজরায় 'চোর ধর জেল ভর' কর্মসূচির ডাক দেয় দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে হাজির হন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ, তিনি গাড়ি থেকে নামতেই পুলিশ ঘিরে ফেলে। এরপর সুকান্তবাবু পোস্টার বার করতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। রাজ্য বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। আটক করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে।
এসবের মধ্যেই সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মমতা সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। প্রশাসন ও শাসক দল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ফলে আন্দোলন করলেই গ্রেফতার বা আটক করা হচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের ক্যাডারের মত আচরণ করছে। কিন্তু, এতে সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না।' তাঁকে আটকাতে মহিলা পুলিশরা গায়ে হাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপি সভাপতির।
আরও পড়ুন- ‘অভিষেক জট খুলতে উদ্যোগী হওয়ায় বিরোধীদের গায়ে জ্বালা ধরেছে’, সোচ্চার কুণাল
পুলিশের তরফে দাবি, বিজেপি নেতা, কর্মীরা ক্রমশ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ওই অঞ্চল থেকে সামান্য দূরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ চ্য়াটার্জী স্ট্রিটের বাড়ি। ফলে হাই সিকিউরিটি জোন। ফলে বিক্ষোভরত বিজেপি নেতা, কর্মীদের আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ দিন দুপুরে সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি হাজরায় এসে দাঁড়ানো মাত্রই পুলিশের তৎপরতা এবং তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিমেষের মধ্যে ঘটে। ফলে নেতার পরিণতি দেখে কর্মসূচির মাঝপথেই কার্যত দিশাহারা অবস্থা হয় গেরুয়া দলের কর্মীদের।