বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। যা নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের আইডল বাংলার মহারাজকে কেন এ রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সৌরভের পদক্ষেপে তৃণমূল অবশ্য কোনও রাজনীতি দেখতে নারাজ। এসবের মধ্যেই বড় দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতার শেরিফ করার জন্য দাবি তুললেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি। এতেই সৌরভের প্রতি মমতার সরকারের দীর্ঘ অবহেলার কিছুটা পুনরুদ্ধার সম্ভব বলে মনে করেন সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কলকাতার ২৪৬তম শেরিফ হয়েছিলেন সাহিত্যিক মণিশংকর মুখোপাধ্যায়। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১ বছর। কিন্তু, এরপর করোনা অতিমারির দরুন ২০২০ সাল থেকে কলকাতার শেরিফ পদটি ফাঁকাই রয়েছে।
বাংলার বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'সৌরভ গাঙ্গুলি বাঙালির আইডল, তাঁর পরিচয় দিতে বাঙালিরা গর্ববোধ করেন। বাংলার সরকারের উচিত ছিল তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বসাডর বানানো। সেই কাজ তারা করেননি, ফলে ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন সৌরভ, সেখানেও তো বাঙালিরা থাকেন। আমি আশা করব, এই মুহূর্তে কলকাতা কর্পোরেশনের কোনও শেরিফ নেই। শেরিফ পদটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই পদটি অবিলম্বে সৌরভ গাঙ্গুলিকে দেওয়া উচিত। এর ফলে বাংলা যে সুযোগ হারিয়েছে তা কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করা সম্ভভ।'
ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ত্রিপুরা সরকারের তরফে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মঙ্গলবার কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই মহারাজকে (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডার নাম) এই প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। বৈঠকের মাঝেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সৌরভ। তারপরই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন সৌরভ।
জানা গিয়েছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে ফেরার পরই তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সংক্রান্ত বিস্তারিত চুক্তি হবে। তার পরই শ্যুটিং নিয়ে চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করা হবে।
পাহাড় ঘেরা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা। সেখানে পর্যটনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত পড়শি বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যটি চায় বাংলা থেকেও মানুষ সেরাজ্যে পর্যটনের আকর্ষণে বারে বারে যাক। এদিকে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আপামর বাঙালি তথা দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আইকন। সেই কথা বিবেচনা করেই ত্রিপুরার পর্যটনের উন্নতিতে সৌরভকে কাজে লাগাতে চেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সরকার। আর তাতেই সম্মতি জানিয়েছেন খোদ মহারাজ।