শুভেন্দুর ডিসেম্বর বিপ্লব নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির নাম না করে পাল্টা বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, তিনি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলেন না। যা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। এবার শুভেন্দুকে ইটের বদলে পাটকেল দিলেন দিলীপ। বললেন, "আমাকে দেখে প্রেরণা পাচ্ছে অনেকে। মর্নিং ওয়াক করছেন। সকালে ওঠার জন্য দম চাই একটু।"
কিছুদিন আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণামও করেছিলেন। যা নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের গলায়। সোজাসাপটা দিলীপ ঘোষ সেই সময় বলেছিলেন, ‘অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করেন। উনি এখানে করেছেন।’
আর, দিলীপ ঘোষের ওই বক্তব্যের জেরে তাঁর মমতা-বিরোধী ইমেজ যে ধাক্কা খেয়েছে, তা বুঝতে আর অসুবিধা হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। আর, সেই শোধ যেন শুভেন্দু তুলেছিলেন সোমবার। হাজরার সভা থেকেই যেন নাম না-করে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষের মাধ্যমে কার্যত সেকথাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
আরও পড়ুন রাজ্য বিজেপির কোন্দল তুঙ্গে, হাজরায় নাম না-করে দিলীপকে কটাক্ষেই বোঝালেন শুভেন্দু
সোমবার এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মর্নিং ওয়াকে গিয়ে যা খুশি তাই বলি না।’ রাজ্য রাজনীতিতে আরএসএসের প্রাক্তন প্রচারক দিলীপ ঘোষই দলবল নিয়ে সকালে শরীরচর্চা করতে বিভিন্ন জায়গায় যান। আর, শরীরচর্চা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। শুভেন্দুর বার্তা যে তাই দিলীপ ঘোষকেই লক্ষ্য করে, একথা বুঝতে তাই আর কারও অসুবিধা হয়নি।
এর আগে দিলীপ ঘোষ শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, "যিনি ডিসেম্বর নিয়ে বলছেন, নিশ্চয় তাঁর কাছে গোপন ভিতরের খবর আছে। আমার কাছে নেই।" তিনি আরও বলেন, "কে কার সম্বন্ধে কী বলছে, আমার জানা নেই। আমার বলারও নেই। কে ব্যক্তিগতভাবে কী বলছে, তাতে কী আছে! কারও মত নিয়ে কিছু বলার নেই।"
বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার এই বাকযুদ্ধ ঘিরে এখন অস্বস্তির মেঘ গেরুয়া শিবিরে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের অন্দরের কোন্দল জোরাল হচ্ছে! প্রশ্ন রাজ্য রাজনীতিতে।