বাংলার রাজনীতিতেও চলে এল রিসর্ট পলিটিক্স। হোটেল রাজনীতি এতদিন গোয়া, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং হালের মহারাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল। বিধায়কদের হোটেল রাখার কাজ করেছিল কংগ্রেস এবং বিজেপি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এতদিন এসব ছিল ভাবনার অতীত। এবার বিজেপির সৌজন্যে এবার বাংলাতেও হোটেল রাজনীতি দেখা গেল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সব ভোট দ্রৌপদীর জন্য নিশ্চিত করতে বঙ্গ বিজেপি তাঁদের ৬৯ জন বিধায়ককে হোটেলে রাখা নিয়ে তরজা তুঙ্গে।
Advertisment
সোমবার ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে রবিবার বিধায়কদের হোটেলে রাখে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আগেই সাতজন তৃণমূল শিবিরে চলে গিয়েছেন। সাংসদ অর্জুন-পুত্র পবন কী করবেন তা নিয়ে ধন্দে ছিল বিজেপি। তাই ৬৯ জনকে বিধায়ককে নিউটাউনের ঝাঁ-চকচকে ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে রাখে বিজেপি। যা নিয়ে মঙ্গলবারও আলোচনার শেষ নেই।
সূত্রের খবর, হোটেলে মোট ৩৬টি ঘর বুক করে বিজেপি। এক একটি এসি ঘরের দৈনিক ভাড়া প্রায় ৮ হাজার টাকার বেশি। ৩৫টি ঘরে ৬৯ জন বিধায়ককে টুইন শেয়ারিং ভিত্তিতে রাখা হয়। ডবল বেডরুমে দুজন করে বিধায়ক ছিলেন।
রবিবার বেলা বারোটা থেকেই এক এক করে বিধায়করা হোটেলে আসতে শুরু করেন। তাঁদের জন্য এলাহি আয়োজন ছিল মধ্যাহ্নভোজে। বুফে কায়দায় লাঞ্চের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, বেগুন ভাজা, বাটার নান, পনির মশলা, পোলাও, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন কারি, গ্রিলড ফিশ, আম সন্দেশ এবং গুলাব জামুন।
হোটেল সূত্রে খবর, লাঞ্চ এবং ডিনার মিলিয়ে দুবেলা এক একজনের খাবারের খরচ প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা করে। সবমিলিয়ে বিধায়কদের এক রাতের থাকার খরচ পড়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। এবং দুইবেলা খাওয়ার খরচ পড়েছে আনুমানিক তিন লক্ষ টাকার বেশি। এছাড়াও তাঁদের বাসে করে আনা, আবার বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া-সহ আনুসঙ্গিক খরচ সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বেশি।
বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক সংবাদমাধ্যমকে মনোজ টিগ্গা সাফাই দিয়েছেন, "কীভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে, ভোটের মক ড্রিল এবং প্রশিক্ষণের জন্য আমরা সবাই ওয়েস্টিন হোটেলে ছিলাম। অনেক বিধায়ক প্রথমবার ভোট দিচ্ছিলেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল।"