National and State Anthem Debates in Assembly: তখন সবে বিকেল ৩টে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শুরু হল বাজেট অধিবেশন। ঘোষণা করা হল রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী সহ সমবেতভাবে তৃণমূল বিধায়করা গাইতে শুরু করেছেন 'বাংলার মাটি বাংলার জল'। ঠিক তখনই পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী অধিবেশনে উপস্থিত বিজেপি বিধাকরা। ফলে বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই সভার উত্তাপ চড়তে থাকে।
Advertisment
এরপরই বাজেট বক্ততা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রের সমালোচনা করায় শুরু থেকেই হইচই জুড়ে দেন গেরুয়া বিধায়করা, নেতৃত্ব দেন খোদ বিরোধী দলনেতা। এভাবেই বেশ কয়েক মিনিট চলতে থাকে। তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজের আসনে বসে।
কিন্তু বেশিক্ষণ ধৈর্ষ চেপে রাখতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের আসন ছেড়ে উটে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুদের তোপ দেগে বলেন, বলেন, ‘এটা পার্টি অফিস নয়, এটা বিধানসভা। বিজেপি অ্যান্টি বাঙালি। এরা বাংলার ভালো চায় না।' পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে হইচই করতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন বাজেট পড়তে দেওয়া হচ্ছে না, তাহলে কী ভয় পাচ্ছেন?' শীতকালীন অধিবেশনে সাংসদদে বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের ঘটনা উল্লেখ করে মমতা বললেন, 'পার্লামেন্টে ১৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আমরা এসব করব না। তবে মনে করিয়ে দিলাম।'
পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ওটা রাজ্য সঙ্গীত না বলে জাতীয় সঙ্গীত বলা হয়েছে। তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি। দেশকে দু’ভাগ করার চেষ্টা করছে। যা খুশি চাপিয়ে দিলে কোম্পানির লোকেরা মেনে নেবেন, বিজেপি বা জনগণ মানবে না। দেশপ্রেম, রাষ্ট্রবাদ ও ভারত মাতার অবমাননা হলে বিজেপি আপস করবে না।’