পুজোর মধ্যেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা জোরদার করতে বাংলায় আসছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনটাই জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে ৩০ অক্টোবর। তার জন্য এই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, এই ২৭ কোম্পানির মধ্যে সিআরপিএফ থাকছে ৮ কোম্পানি। বিএসএফ জওয়ান থাকবে ৯ কোম্পানি। সিআইএসফ ও এসএসবি থাকবে পাঁচ কোম্পানি। আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন রয়েছে দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসাবা কেন্দ্রে। ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম উঠে আসে দিনহাটার। এখানে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর উপর ব্যাপক হামলা হয়েছিল ভোটের ফল ঘোষণার। বিজেপির উপরও আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। সেই দিক থেকে উপনির্বাচনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট রাখতে চাইছে কমিশন।
দিনহাটা ও শান্তিপুর এই দুই কেন্দ্রে একুশের নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপি। পরে দুই জয়ী বিধায়ক তথা সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দেন। দিনহাটা ও শান্তিপুরে তাই উপনির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে যাতে খোনও খামতি না থাকে সেদিকে নজর রয়েছে কমিশনের। বাকি দুই কেন্দ্র গোসাবা ও খড়দহে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু দুই বিধায়কই প্রয়াত হন। একুশের নির্বাচনে বা ভোট পরবর্তীতে সেভাবে এই দুই এলাকায় হিংসার খবর সামনে আসেনি। তাও নিরাপত্তায় খামতি রাখতে চায় না কমিশন।
আরও পড়ুন কাঁটা দিয়ে অন্দরের কাঁটা তোলা, দলত্যাগীর ফেরানোর নেপথ্যে গভীর ছক তৃণমূলের
ভবানীপুর উপনির্বাচনে গন্ডগোল এড়ানো যায়নি। প্রচারের শেষ দিনে যদুবাবুর বাজারে দিলীপ ঘোষের প্রচারে ব্যাপক অশান্তি হয়। আহত হন একাধিক বিজেপি কর্মী। কমিশনে নালিশও করে গেরুয়া শিবির। এবার এই চার কেন্দ্রে প্রচার-ভোট শান্তিপূর্ণ থাকে কি না সেটাই দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন