টিকাকরণ ও করোনা প্রতিরোধে রাজ্যের উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে এদিন বিকেলে করা বৈঠকে তিনি টিকাদান নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে যা টিকা এসে পৌঁছেছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অযথা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়ানোর দরকার নেই।‘ এদিন ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাদান নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্য সচিব। তিনি বলেছেন, ’১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দিতে আমরা কেন্দ্রের টিকা সরবারহের জন্য অপেক্ষা করব। ভ্যাকসিনের বরাত দেওয়া হয়েছে। সেটা হাতে পেলেই শুরু হবে টিকাদান।‘
এমনকি, রেমডেসিভির-সহ অন্য জীবনদায়ী ওষুধের কালোবাজারি রুখতে, অক্সিজেনের জোগাড় পর্যাপ্ত করতে সরকারি উদ্যোগের প্রসঙ্গেও এদিন কথা বলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, সোমবার বিকেলে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। বিমানবন্দর থেকে সেই টিকা নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজার স্টোরে।
এদিকে, রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা। নবান্ন থেকে ফের একবার আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১ কোটি টিকা দেব। রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেব।’ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। সেই জন্য টিকা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও লেখেন তিনি। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টিকা রাজ্যে পৌঁছবে। রবিবার এক লক্ষ কোভ্যাক্সিন এসে পৌঁছেছে শহরে।
এদিন, সাংবাদিক বৈঠকে টিকার জোগান নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করছে না। পর্যাপ্ত টিকা দিয়ে সাহায্য করছে না। ৩ কোটি টিকা চেয়ে পেয়েছি মাত্র ১ লক্ষ। ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচা করে সরকার টিকা দিতে পারে। কেন দিচ্ছে না সেটা জানি না।’