Advertisment

‘রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা’, নবান্নে বসে ফের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

তাঁর কথায় স্পষ্ট উঠে আসে, রাজ্যে এখনই লকডাউন হচ্ছে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Super Cyclone Yaash, Chief Minister, NDRF, SDRF

রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা। নবান্ন থেকে ফের একবার আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১ কোটি টিকা দেব। রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেব।’ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। সেই জন্য টিকা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও লেখেন তিনি। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টিকা রাজ্যে পৌঁছবে। রবিবার এক লক্ষ কোভ্যাক্সিন এসে পৌঁছেছে শহরে।

Advertisment

এদিন, সাংবাদিক বৈঠকে টিকার জোগান নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করছে না। পর্যাপ্ত টিকা দিয়ে সাহায্য করছে না। ৩ কোটি টিকা চেয়ে পেয়েছি মাত্র ১ লক্ষ। ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচা করে সরকার টিকা দিতে পারে। কেন দিচ্ছে না সেটা জানি না।’’

মুখ্যমন্ত্রীর এরপর কেন্দ্রকে বার্তা দিয়ে বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলায় ব্যবহৃত সরঞ্জামে যেন জিএসটি না নেওয়া হয়। দেশে উৎপাদিত ৬৫ শতাংশ টিকা বাইরে গেলে অন্য দেশ থেকে আনাতে হবে। কোথা থেকে টিকা আনানো হবে, তা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক। এর জন্য সুস্পষ্ট নীতি দরকার। সরকারের অগ্রাধিকার কোভিড মোকাবিলা। কিন্তু এর মধ্যেও কেন্দ্রীয় দল এসে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। তারপর দাবি করা হয়েছে, কোভিড সরঞ্জামে জিএসটি নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কোথাও কোথাও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি।’’

এদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথ নেওয়ার পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানালের রাজ্যের মানুষকে। তিনি বললেন, ‘‘তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনার জন্য মা, মাটি,মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। সব ধর্মের মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমরা বিভেদ চাই না, আমরা ঐক্য চাই। এই রায় শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, সংহতির রায়।’’

রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও সোমবার মুখ খোলেন মমতা। তাঁর কথায় স্পষ্ট উঠে আসে, রাজ্যে এখনই লকডাউন হচ্ছে না। মমতা বলেন, ‘লকডাউনের ঘোষণা না করে, লকডাউনের মতো সাধারণ মানুষকে আচরণ করতে হবে। কারণ লকডাউন ঘোষিত হলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। দরিদ্র মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবেন, সেটা আমরা চাই না।’ তিনি আবেদন জানান, যাতে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যাতে অক্সিজেন সেন্টার তৈরি করে। পাশাপাশি তাঁর আবেদন, বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলো যেন এগিয়ে আসে।

Mamata Banerjee Nabanna Covaccine
Advertisment