শুক্রবার মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াস বিপর্যয় এলাকা ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘শুক্রবার প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনা, তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করব। এরপর যাব কলাইকুন্ডায়, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। উনি ওড়িশা ঘুরে এসে বৈঠক করবেন বলে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখান থেকে দিঘা হয়ে শনিবার রামনগর, খেজুরি এই এলাকা পরিদর্শন করে কলকাতায় ফিরব।‘
এদিকে, জানা গিয়েছে শুক্রবার আকাশপথে ওড়িশা ও বাংলার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভুবনেশ্বরে করবেন পর্যালোচনা বৈঠকে। ইতিমধ্যে ঝড় মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি টাকা বরাদ্দ করেছে বাংলা ও ওড়িশাকে। ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই অনুদান বাড়তে পারে। এমনটাই মত নবান্ন সূত্রে।
এদিকে, আরও ১৫ দিন রাজ্যে বাড়ল করোনা বিধিনিষেধ। অর্থাৎ ১৫ জুন পর্যন্ত আগের নিয়মই কার্যকর থাকবে। নবান্নে বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা প্রতিোরধে ১৬ মে থেকে রাজ্যব্যাপী চলছে এই বিধিনিষেধ। কেউ কেউ একে কার্যত লকডাউন আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু একে লকডাউনের বদলে কোভিড বিধিনিষেধ বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘আগে যে যে শিল্পে শিথিলতা ছিল, অনলাইন যেমন বিকিকিনি চলছিল তেমন চলবে। পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা দেশীয় বাজারে বাড়ায় পাটশিল্পে শ্রমিক সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।‘
আরও ১০% শ্রমিক পয়লা জুন থেকে কাজে যোগ দিতে পারবেন। এখন ২০% শ্রমিক নিয়ে চলছে পাটশিল্প। এদিন এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি টিকাকরণের বিষয়ে অবিলম্বে প্রান্তিক ও গরিব মানুষদের টিকা সম্পূর্ণ করতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মডেল করতে চাই। তাই যাঁদের সঙ্গে মানুষের বেশি মেলামেশা তাঁদের টিকাকরণ আগে সম্পূর্ণ করতে চাই। যারা বাজারে বসেন, মাছ বিক্রি করেন, হকার, যৌনকর্মী। এঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলে কিছুটা সংক্রমণ কমানো সম্ভব।‘
এদিকে, চিকিৎসকরা রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে আমরা রাজ্যের করোনা গ্রাফে একটা অধঃপতন দেখেছি। এই ধারা চলতে থাকলে আগামি দুই সপ্তাহে আরও কমবে গ্রাফ। তাই এই মুহূর্তেই আবার বাজার সচল করে দিলে ফের সংক্রমণ হাতের বাইরে চলে যাবে।‘