হকের চাকরি না মেলা পর্যন্ত অনশন আন্দোলনে অনড় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। যাকে 'অন্যায্য' বলে দেগে দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। ধর্নার নেপথ্যে অন্য দলের রাজনৈতিক উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এবার এই আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং শিক্ষা মন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ধর্নায় না বসে কেন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না চাকরিপ্রার্থীরা। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের মতোই করুণাময়ীর বিক্ষোভকে 'বেআইনি' বলে দাবি করেছেন ব্রাত্য বসু।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে সমর্থন করে ব্রাত্য বসু বুধবার বলেছেন, 'নেট,সেট, জয়েন্টের প্যানেলে সবাই চাকরি পান না৷ ফলে পর্ষদ সভাপতি যে কথা বলেছেন,তার সারবত্তা আছে৷ একদল চান রাজ্যে অচলাবস্থা চলুক৷ আমার কাছে নির্দেশ এসেছে,কারুর সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না৷ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্যই কি এই আন্দোলন?'
আরও পড়ুন- হাইকোর্টে প্রাথমিক ধাক্কা পর্ষদের, টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন তুলতে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ
আরও পড়ুন- রুদ্র-রোষে মুখ্যমন্ত্রী, ‘চাকরিপ্রার্থীদের চোখের জলই ১৪তলা থেকে মমতাকে নামাবে’
শিক্ষা মন্ত্রীর কথায়, 'একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বলতে পারি এই আন্দোলনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। ওদের যদি মনে হয় আমরা অবিচার করছি তাহলে আদালতে যান। অনেক মামলাই তো হচ্ছে। রাস্তায় না বসে আদালতে যান। এক দল বিরোধী তো চান না যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিক।'
উল্লেখ্য, করণাময়ী থেকে টেট উত্তীর্ণদের ধরনা তুলতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কর্মীদের দফতরে ঢুকতে অসুবিধা হচ্ছে ও কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আন্দোলন হঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে।