Advertisment

চুঁচুড়ার স্কুলের মিড-ডে মিলে নুন-ভাত! তদন্তের নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর

‘‘এটা অমানবিক। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিল নিয়ে কারও রাজনীতি করা উচিত নয়। মিড-ডে মিলের মেনুতে কোনও বদল আনা হবে না। এ ঘটনায় যারা জডড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি দেবে সরকার’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
partha chatterjee, পার্থ চট্টোপাধ্যায়

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হুগলির চুঁচুড়ার বালিকা বাণী মন্দিরের মিড-ডে মিলের মেনুতে নুন-ভাত দেওয়ার অভিযোগে নড়েচড়ে বসলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা অমানবিক। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিল নিয়ে কারও রাজনীতি করা উচিত নয়। মিড-ডে মিলের মেনুতে কোনও বদল আনা হবে না। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি দেবে সরকার’’। এদিকে, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।

Advertisment

mid day meal scam স্কুল পরিদর্শনে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছবি- উত্তম দত্ত

আরও পড়ুন: মমতাকে তৈরি করতে সব নষ্ট করে জীবন দিয়েছিলাম, আর উনিই রাজনীতি করলেন: শোভন

উল্লেখ্য, সোমবার চুঁচুড়ার ওই স্কুলে আচমকাই পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তখন স্কুলের ছাত্রীরা মিড ডে মিলের খাবার খাচ্ছিল। লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। তাই কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ পরিদর্শনে এসেছি। এই স্কুলে মিড ডে মিল-এ দেওয়া হচ্ছে নুন-ভাত। আজও শুধু ভাত দেওয়া হয়েছে। শুকনো ভাত খাচ্ছে বাচ্চাগুলো। দিনের পর দিন মিড ডে মিল নিয়ে এখানে দুর্নীতি ও চুরি চলছে।”

আরও পড়ুন: পাতে শুধু নুন-ভাত, মিড ডে মিলে লাগামছাড়া ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে রণংদেহি লকেট

প্রসঙ্গত, ওই স্কুলের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কোনও দিন ভাত, ডাল ও সয়াবিনের তরকারি, আবার কোনও দিন ভাত, ডাল ও ডিমের তরকারি। কখনও আবার আলু-পোস্ত, পাঁপড় ভাজা, আলুমাখা। কিন্তু স্কুলের মিড ডে মিলে ছাত্রছাত্রীদের জুটছে কখনও নুন-ভাত অথবা ফ্যান-ভাত। সোমবার এমন মেনু ‘হাতে-নাতে ধরে ফেলেন’ হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদ দাবি করেছেন, এ ঘটনার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে। তদন্তের দাবি জানিয়ে লকেট অভিযোগ করেন, প্রায় ২৬০ কেজি চাল ও ৫ হাজার ডিমের হদিশ নেই। যা কখনই ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলে দেওয়া হয়নি।

Read the full story in English

West Bengal
Advertisment