প্রথমের তুলনায় আরও মারাত্ম করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। দৈনিক সংক্রমণ ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। কিন্তু, উধাও রাজ্যবাসীর সচেতনতা। ভোট আবহে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে চলছে দেদার প্রচার সভা, মিছিল। প্রার্থী থেকে নেতা-কর্মী- অধিকাংশের মুখেই মাস্কের দেখা মেলা ভার, ঘুচেছে সামাজিক দূরত্ব বিধি। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ চোখ রাঙাচ্ছে। অবস্থা ভয়াবহ।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।
কী নির্দেশিকা জারি?
- 'বাজারের মতো জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে জোরদার প্রচার চলবে।'
- 'কোভিড সচেনতার প্রচার করতে জনবহুল এলাকায় মাইকে প্রচারেও জোর দিতে নির্দেশ।'
- 'হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে গুরুত্ব আরোপ।'
- 'প্রয়োজনে বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে।'
- 'প্রয়োজনে জমায়েত বন্ধ করা হবে।'
- ' রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারের অনুমতি চাইতে এলে জেলা প্রশাসন তাদের নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।'
- 'যেসব জেলায় ভোট মিটে গিয়েছে সেই সব জেলায় করোনা বিধি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ।'
- 'সংক্রমণে রাশ টানতে প্রয়োজনে শহরে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো।'
- 'কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলির ২০ শতাংশ পরিকাঠামো বৃদ্ধির নির্দেশ।'
- 'অবিলম্বে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ।'
- 'আরটিপিসিআর টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ।'
- '১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভিড় কমানোয় নজর।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন