Bengal Corona Restriction: উৎসবের মরশুমে দুর্গা পুজোর জন্য ১১ দিন রাত্রিকালীন বিধিতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। আসন্ন কালী এবং ছট পুজো উপলক্ষে একই পথে হাঁটছে নবান্ন। তবে এই দুই পুজোয় একসঙ্গে নয়, দফায় দফায় ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর কালীপুজো, সেই উপলক্ষে ২-৫ নভেম্বর থাকবে না রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। একইভাবে ছটপুজোর জন্য ১০ এবং ১১ নভেম্বর তুলে নেওয়া হবে রাত্রীকালীন বিধিনিষেধ। বাকি দিনে বলবৎ থাকবে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ এবং করোনা নিয়ন্ত্রণ।
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, উৎসব বা সাধারণ সময়, স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম মেনেই খোলা থাকবে খাবারের রেস্তোরাঁ। বাকি সকলের জন্য রাত ১১টার মধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ করতে হবে দোকানের। তবে আগামি পুজো কিংবা কাজের দিন, বাড়ি থেকে বেরোলে মাস্ক এবং দূরত্ববিধি পালন আবশ্যিক। এমনটাই নবান্ন সূত্রে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
পাশাপাশি রবিবার থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫০% যাত্রী নিয়ে গড়াবে রেলের চাকা। কিন্তু কিছুতেই আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না দৈনিক সংক্রমণ। বৃহস্পতিবারের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও, সাড়ে ৯০০-র উপরে থাকল গ্রাফ। তবে দৈনিক মৃত্যু কমায় একদিকে সুরাহা স্বাস্থ্যকর্তাদের। গত একদিনে সংক্রমিত ৯৮১ এবং মৃত ৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৬০, সুস্থতার হার আরও কমে ৯৮.২৮%। তবে শুক্রবার অনেকটাই কমেছে আক্রান্তের হার। একটা সময় ২.২৫-২.৫০% ছিল সংক্রমণের হার। একদিনে সেই হার কমে ২%। মোটের উপর ২%-এর নীচে আক্রান্তের হার নামলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত এমনটাই ধরে নেওয়া যায়। রাজ্যে এখন সক্রিয় সংক্রমণ ৮২২৩, কলকাতায় সংক্রমিত ২২৩।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমিত ১৬১ এবং ৮৩। হাওড়া এবং হুগলিতে সংক্রমিত ৭৩ এবং ৭৯। উত্তরবঙ্গে সংক্রমণের শীর্ষে দার্জিলিং। তারপর জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর। এদিকে, গতকালের চেয়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যু-হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৪৮ জন। একদিনে করোনার বলি আও ৮০৫। গতকালের চেয়ে একধাক্কায় মৃতের সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৮ জন।
দিওয়ালির মুখে দেশজুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণের ওঠানামা জারি। গতকালের চেয়ে এদিন দেশের দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমলেও মৃতের সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৬ হাজার ১৫৭। এর মধ্যে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬১ লক্ষ ৩৩৪।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩২ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৯১। দেশজুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ অভিযান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ১০৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৯৬৬ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
দেশজুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। একাধিক রাজ্যে উৎসবকে কেন্দ্র করে এর আগেও সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিয়েছিল। যার জ্বলন্ত উদাহরণ হল দক্ষিণের রাজ্য কেরল। ওনাম ও ইদে ঢালাও ছাড়ের মাশুল এখনও গুণছে কেরল। এই মুহূর্তে দশের মধ্যে সর্বাধিক করোনা সংক্রমিত রাজ্য কেরল। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিশেহারা দশা কেরল সরাকরের। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গেও দুর্গাপুজোর পর তেকে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণপ্রবণ এলকাগুলিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি-সহ একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন