'হাতেখড়ি'তে 'জয় বাংলা' মন্তব্য হোক বা বাজেট ভাষণের বক্তব্য- রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের চেয়ারে সি ভি আনন্দ বোস তাঁর পূর্বসূরী জগদীপ ধনকড়ের সমতুল্য নন বলেও তোপ দাগছিলেন পদ্ম বিধায়করা। বাজেট ভাষণের পরই বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালের মেরুদণ্ড-সোজা ও পক্ষপাতহীনতা নিয়ে সরব ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে আচমকা রাজ্যপাল নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাসি মুখে সন্তোষ প্রকাশ বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী।
ঘটনার প্রেক্ষাপট-
শনিবার সকালে রাজভবনে গিয়েছিলেন রারাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দেখা করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। প্রায় দু'ঘন্টা ধরে চলে এই বৈঠক। এরপর সুকান্ত মজুমদার রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে দাবি করেন যে, রাজ্যপাল তাঁকে দুর্নীতির সঙ্গে জিরো টলারেন্সের আশ্বাস দিয়েছেন। রাজনীতিতে হিংসার কোনও জায়গা নেই বলেও জানিয়েছেন।
রাজ্যপালের বিবৃতি-
এর কয়েক ঘন্টা পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস 'কড়া বিবৃতি' জারি করেন। বিবৃতিতে উল্লেখ, গত দু’মাসের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। প্রথমত, ভারতের সংবিধানকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইনের শাসন সুনিশ্চিত করতেই হবে। তৃতীয়ত, বাংলার মানুষের উন্নয়নই একমাত্র কাজের লক্ষ্য হবে।
বিবৃতিতে বিজেপি সভাপতির সঙ্গে তাঁর বৈঠক ও আলোচনাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ রয়েছে, সিভি আনন্দ বোসকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের নানান দুর্নীতি, অনিয়ম ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগাম সন্ত্রাসের আশঙ্কা কথা তুলে ধরেছেন। রাজ্যপাল বিবৃতি মারফৎ জানিয়েছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথা সময়ে 'কার্যকরী ও সক্রিয়' হস্তক্ষেপ করা হবে। নির্বাচনে হিংসার কোনও স্থান নেই এবং আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে।
শুভেন্দুর মন্তব্য-
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে বিরোদী দলনেতা বলেছেন, 'রাজ্যপাল ভাল মানুষ। শিক্ষিত লোক। কিন্তু উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছিলেন। চাইব উনি ট্র্যাকে ফিরে আসুন। গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনকড়ের দেখানো পথে সাংবিধানের রক্ষক হিসেবে উনি কাজ করুন। আমার বিশ্বাস, উনি ট্র্যাকে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। উনি আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন। এটা ভাল হচ্ছে।'