কালিয়াগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র কাছে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে রাজ্যপাল কথা বলেছেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর সঙ্গেও।
অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে রাজ্যপালকে আশ্বস্ত করেছেন ডিজিপি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিল্লিতে তাঁর কর্মসূচি স্থগিত রেখে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি কালিয়াচকেও একই ভাবে নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মুখ্যসচিব, ডিজিপিকে ফোন করে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন আনন্দ বোস। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এখনও উত্তাল পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। দোষীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে গোটা এলাকা। মঙ্গলবার ফের এক দফায় আন্দোলনে নেমেছিল রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসীদের সংগঠনগুলি। তাঁদের সঙ্গে এদিন তুমুল বচসা শুরু হয় পুলিশের। পরে তা খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয়। পরিস্থিতি মুহূর্তে চূড়ান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ফের উত্তাল কালিয়াগঞ্জ, থানায় ভাঙচুর-আগুন
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত গোটা এলাকা। মঙ্গলবার সকালে রাজবংশী তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় এলাকায়। কালিয়াগঞ্জের কালীবাড়ির কাছ থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু ইট-পাথর বৃষ্টি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম দশা হয় পুলিশের। শেষমেশ কমব্যাট ফোর্সকে ময়দানে নামানো হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বেপরোয়া লাঠিচার্জ শুরু করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের একটি দল কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল।