Advertisment

এবার বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে নবান্ন-রাজ ভবন সংঘাত! মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের ট্যুইট খোঁচা

Jagdeep Dhankar: সোমবার রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jagdeep Dhankar, Tweet, Mamata Official

ফাইল ছবি।

Jagdeep Dhankar: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে এবার চরমে রাজ ভবন-নবান্ন সংঘাত। সোমবার রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেই সময়েই আগামি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই উদ্যোগকে সফল করতে তিনি পাশে চান রাজ্যপালকেও। সৌজন্যর খাতিরে সংবিধানের মধ্যে থেকে যথাসম্ভব সাহায্যের পাল্টা প্রতিশ্রুতি দেন জগদীপ ধনকড়। কিন্তু ক্যালেন্ডারে তারিখ ও দিন বদলাতেই বদলে যায় রাজ্যপালের ভূমিকা। এদিন সকালে তিনি বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে জোড়া ট্যুইট করেন। দুটি ট্যুইটেই বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনে রাজ্যের ভূমিকার ঘুরিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল।

Advertisment

প্রথম ট্যুইটে তিনি গত পাঁচ বছরের বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শ্বেত পত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন। ধনকড় লিখেছেন, ‘বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে শ্বেতপত্র প্রকাশের আবেদন জানাচ্ছি। যাতে তথ্য ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে বিস্তৃত তুলে ধরা যায়। এটাই আমাদের বাধ্যবাধকতা। কেবল বিজ্ঞাপন এবং বিবৃতি দিতে কাজ জাহির করা নয়, সত্য এবং পবিত্র পরিবেশ বজায় রাখা জরুরি।‘

এখানেই থামেননি রাজ্যপাল। দ্বিতীয় ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘জমিতে কেমন ফসল হয়েছে, সেটাই জমির পরিচয়। তা জানতে চেয়ে একবছর আগে পাঁচটি বঙ্গ সম্মেলনের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছিল।‘

বাংলায় শিল্প সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। বারংবার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই উপলক্ষে নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু রাজ্যের উদ্যোগে বাণিজ্যে লক্ষ্মী বসত করালেও জমি অধিগ্রহণ করবে না নবান্ন। মঙ্গলবার ফের একবার অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণবিমুখ। রাজ্যের ল্যান্ডব্যাঙ্ক থেকেই বিনিয়োগকারীদের জমি বাছতে আবেদন করেছেন তিনি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেও একই নীতি মমতা সরকারের।

এদিন বিধানসভায় দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বক্তব্যেই উঠে এসেছে দেউচা-পাচামির শিল্প বিনিয়োগ প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেউচা-পাচামি প্রকল্পে আমার সরকার কোনও জেদাজেদিতে যাবে না। বরং সকলের আস্থা অর্জন করেই বিনিয়োগ হবে। রাজ্য সরকার পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তারপর কারও কোনও দাবিদাওয়া থাকলে বসে আলোচনা হবে। এই শিল্প হলে এখানে বিদ্যুতের দাম অনেকটাই কমে যাবে। রাজ্যের মানুষের সুবিধা হবে। এখানে কোনও ইগোর ব্যাপার নেই।‘

এদিকে, উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণের শুরুতেই বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। পাশাপাশি শপথ অনুষ্ঠানে হাজির না থাকার জন্য নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়কদের দিকেও। বলেন, ‘গণদেবতাই বাংলার অহঙ্কার। মানুষের রায় অহঙ্কার নয়, আশীর্বাদ। নতুন চারজন আজ শপথ নিলেন বিধায়ক পদে। সকলের উচিত ছিল, তাঁদের সামনে এসে অভিনন্দন জানানো। কিন্তু কাদেরই বা বলব? অনেকেই তো নেই। বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনেই করেন না। যখন ইচ্ছা হয় তখন আসেন, যখন ইচ্ছা হয় না তখন আসেন না। এতে আমার মর্মবেদনা হয়, তবে খারাপ লাগে না।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Nabanna Jagdeep Dhankar CM Mamata
Advertisment