ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সোমবার ফের সরব হলেন রাজ্যপাল। এদিন রাজ ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন জগদীপ ধনকড়। সেই বৈঠকেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর প্রশ্ন, ‘নতুন সরকার গঠনের পর রাজ্য মন্ত্রিসভার ৪টি বৈঠক হয়েছে। একটা বৈঠকেো ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই। কেন?’ মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে শপথ নিলেও, সেভাবে কাজ করছে না। এদিন অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।
গণতন্ত্রের উৎসবে একটা পক্ষ শাসক দলের বিরুদ্ধ মত দিয়েছে। এটাই কি ওদের দোষ? পরোক্ষে কি এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, বিরোধী রাজনীতি এই রাজ্যে চলবে না? এই প্রশ্ন করে তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যব্যাপী লাগাতার হিংসা চললেও চুপ প্রশাসন। কোথাও কেন গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী? মানুষ পক্ষে রায় দিয়েছে, কাজ করুন প্রশাসন।‘
প্রশাসনের রাজনীতিকরণ নিয়ে এদিন সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কয়েকজন শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তাঁরা আগুন নিয়ে খেলছেন। গণতন্ত্রে এটা কাম্য নয়। বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না। আমরা রক্তাক্ত বাংলা চাই না।’ তাঁর মন্তব্য, ‘আপনাদের রাজ্যপাল আপনাদের হতাশ করবেন না। ভারতের সংবিধান মেনে যা যা করণীয় আমি করব। সংবিধানের বাইরে গিয়ে যারা কাজ করবে, আমি তাঁর বিরোধিতা করব।‘
এদিন তাঁর কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের পংক্তি। ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য’, আউড়ে তিনি দাবি করেন বাংলায় ভয়ের বাতাবরণ অত্যাধিক। আমরা কোনওভাবেই রাজ্যকে ধংস হতে দেব না। এদিন সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল।এদিকে, এতদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। এবার জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিজের ৬ জন আত্মীয়কে অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি বা ওএসডি পদে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। নাম তুলে ধরে তালিকা টুইট করে অভিযোগ কৃষ্ণনগরের সাংসদের। একইসঙ্গে রাজ্যপালকে ‘আঙ্কলজি’ বলে খোঁচা দিয়েছেন মহুয়া। গত সপ্তাহে টুইট করে ছয় জনের নামের তালিকা দিয়েছেন মহুয়া। তাঁরা কীভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্কিত সেটাও রয়েছে তালিকায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন