/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/mamata-dhankhar.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। ফাইল ছবি
BSF Jurisdiction Row: বিএসএফ-র এক্তিয়ার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্য ঘিরে সঙ্ঘাতে নবান্ন-রাজ ভবন। চিঠি লিখে উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার করা মন্তব্যকে সমালোচনায় বিঁধেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখেন, ‘বিএসএফ নিয়ে আপনার অবস্থান জাতীয় সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। এমনকি, বিএসএফ-র এক্তিয়ার নিয়ে করা আপনার মন্তব্য কেন্দ্রীয় নীতির পরিপন্থী।‘
চিঠিতে উল্লেখ, ‘পুলিশকে দেওয়া আপনার নির্দেশ, তাদের অনুমতি নিয়ে ১৫ কিমি পর্যন্ত এক্তিয়ার বৃদ্ধির অনুমতি পাবে বিএসএফ। এই নির্দেশ জাতীয় নিরাপত্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।‘ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের প্রশাসনিক বৈঠকে ফের একবার বিএসএফ-র এক্তিয়ারবৃদ্ধি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন আইনের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
Urged @MamataOfficial to urgently revisit directives concerning @BSF_India , including ‘BSF is allowed for 15 km, that too with permission of the police’ being not in sync with law.
The stance is potentially alarming for federal polity and national security. pic.twitter.com/naHWUahFBg— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 9, 2021
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিমি ভিতর পর্যন্ত বিএসএফ কাজ করতে চাইলে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে এই মর্মেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই মন্তব্য এবং অবস্থানকে কটাক্ষ করেই চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল। যা পুরভোটের আগে ফের একবার নবান্ন-রাজ ভবন সংঘাতকে উসকে দিয়েছে।
এদিকে,‘রাজ্যের সব পুরসভার ভোট কেন একসঙ্গে করা যাচ্ছে না?’ রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাইলেন জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের সব পুরসভায় একইসঙ্গে ভোট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই একই দাবি রাজ্য বিজেপিরও। যদিও নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র কলকাতা পুরভোটের দিনক্ষণই ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করেছিলন জগদীপ ধনকড়। নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে আসতে বলেছিলেন তিনি। সেই মতো এদিন নির্ধারিত সময়ে রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। পুরভোট নিয়ে এদিন তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চলে ধনকড়ের।
জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে শুধুমাত্র কলকাতায় পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি নির্বাচন কমিশনারকে বলেন, ‘রাজ্যের সব পুরসভার ভোট কেন একসঙ্গে করা যাচ্ছে না?।’ একইসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সতর্ক করে রাজ্যপাল এদিন আরও বলেছেন, ‘সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করবেন না’।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। কমিশনও জোরদার তৎপরতা নিয়ে কলকাতা পুরভোট পরিচালনায় তৈরি। বেছে-বেছে শুধু কলকাতা পুরসভাতেই নির্বাচন করানো নিয়ে শুরু থেকেই তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়ে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের সব পুরসভায় একসঙ্গে নির্বাচন চেয়েছিলেন ধনকড়। যদিও কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত কলকাতাতেই পুরভোট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন