/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/corona-bengal-759.jpg)
প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেরে লকডাউন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পোশাক এবং মাস্কের ঘাটতি পূরণের জন্য এবার বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাংলায় সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে মত একাংশের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন সুরক্ষা পোশাকের বদলে রেনকোট বিলি করেছে সরকার তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন চিকিৎসক মহল। এমনকী অভিযোগ উঠেছিল সুরক্ষামূলক গিয়ারের অপর্যাপ্ততা নিয়েও।
আরও পড়ুন: করোনায় ‘রেইনকোট দিচ্ছে সরকার’, ক্ষোভে ফুঁসছে কলকাতার ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা
উত্তরবঙ্গের মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক শাহরিয়ার আলম বলেন, "প্রথমে মাস্ক এবং গ্লাভসের অভাবও ছিল। অপর্যাপ্ত ছিল পিপিই কিটও। বদলে দেওয়া হয়েছিল রেনকোট। আমরা বেশ কয়েকবার এখানে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এ বিষয়ে। নার্সরাও দেখা করে তাঁদের অভিযোগের কথা জানান কর্তৃপক্ষকে। আমরা শুনেছি পিপিইগুলির একটি চালান এসেছে। আশা করছি আমরা এটি আজই পেয়ে যাব।" প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেযে করোনাভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
এদিকে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস এর পক্ষ থেকে সম্পাদক মানস গুমতা বলেন, "সরকার চিকিৎসকদের জন্য বীমার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আমাদের বীমা নয় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দরকার। আমরা মরতে চাই না। এটা বোঝা উচিত যে চিকিৎসক, নার্সরা কোভিড-১৯ এ সংক্রামিত হতে শুরু করলে দেশে চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে একটি মারাত্মক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হবে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যা আরও একটি সমস্যা তৈরি করবে।"
আরও পড়ুন: “প্রতিশ্রুতি মতো দেওয়া হচ্ছে না রেশন”, বিনামূল্যে রেশন বিলি ঘিরে বিশৃঙ্খল বাংলা
যদিও এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই ১,১১,৩৯৪টি পিপিই, ৪২,২৯৬টি এন-৯৫ মাস্ক, ১,৬২ হাজার লেয়ার মাস্ক, ১৮,৩৬৩ হ্যানিটাইজার এবং ৩২০০টি থার্মাল গান সরবরাহ করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কোনওরকম সহযোগীতা করেনি। আমরা কোনও তৈরি সরঞ্জাম পাচ্ছি না। এ জাতীয় জিনিষ সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ।"
Read the full story in English