সংক্রমণ কমেছে। ফলে জনজীবন সচল রাখতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ-এর কথা মাথায় রেখে রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবে না। জারি রয়েছে কোভিডবিধি। কিন্তু, বহু ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা লংঘন হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গোপনে খোলা থাকছে হোটেল, রেস্তোরাঁ। রাস্তায় নামছে গাড়ি। জনবহুল বিভিন্ন স্থানে দূরত্ববিধি শিকেয়, মাস্ক না পড়া মানুষদের চোখে পড়ছে। কলকাতা থেকে জেলা ছবিটা একই। এবার কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে জেলাগুলোকে উদ্দেশ্য করে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছেন মুখ্য সচিব।
নির্দেশিকায় উল্লেখ, রাস্তায় নাকাচেকিং আরও বাড়াতে হবে। রাতে জারি কোভিডবিধি ভাঙলেই ভাঙলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। এছাড়াও নজরদারিতে আবগারি বিভাগকেও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোটেল, বার, রেস্তোরাঁয় নজরদারি চালাবে তারা।
সম্প্রতি হোটেল, বার, রেস্তোরাঁ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বিধি মেনে সেখানে আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা লংঘন করা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই কলকাতার অভিজাত হোটেলে গভীর রাত পর্যন্ত ডিজে, মাইক বাজিয়ে ককটেল পার্টির অভিযোগ মেলে। পার্টি বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আয়োজকদের বচসা, হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। শিলিগুড়িতেও একই ছবি উঠে এসেছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে মামলা হয়েছে। শহরের কয়েকটি হুকা বারের বিরুদ্ধেও বিধি ভাঙার অভিযোগ রয়েছে।
এরপরই বিশেষ করে জেলাগুলোকে উদ্দেশ্য করে মুখ্য সচিবের করা নজরদারির নির্দেশ বিশেষ তাৎপর্যবাহী।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: NHRC-র রিপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্য, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন
এরআগে চলতি মাসেই কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যকে নতুন করে কঠোরভাবে কোভিডবিধি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ সচিবকে। করোনা সংক্রমণ রুখতে পাঁচটি নিয়ন্ত্রণবিধির মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জোর দেওয়া হয়- টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট, ভ্যাকসিনেট এবং কোভিড অ্যাপ্রোপ্রিয়েট বিয়েভিয়রে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন