হস্তশিল্পে ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন তৈরি করতে হবে, তার জন্য ডিজাইন সেন্টার গড়ে তুলতে হবে, এবং এর জন্য অন্তররাষ্ট্রীয় সংগঠনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হবে। বুধবার নিউটাউনে পশ্চিমবঙ্গ হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন রাজ্যের অর্থ তথা শিল্প বানিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী অমিত মিত্র।
বুধবার থেকে নিউটাউনের ইকো পার্কে শুরু হয়ে গিয়েছে হস্তশিল্প মেলা। চলবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় এবারও বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ছ'হাজার শিল্পী জড়ো হয়েছেন। হস্তশিল্পীদের তৈরি রং বেরংয়ের জিনিস নজর কাড়ছে মানুষের। মেলার মাঠেই শিল্পকর্ম গড়ে বিক্রি চলেছে। ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে গয়নার বিভিন্ন সম্ভার, প্রত্যেকে যাঁর যেটা সেরা সৃষ্টি তা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। যা প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অমিত মিত্র। ছবি: ফিরোজ আহমেদ
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের আশা, গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি আরও বাড়বে। কাঠ, গাছের ডাল, গুঁড়ি দিয়ে গড়া হরেক রকমের পুতুল এনেছিলেন দিনাজপুরের ইন্দ্রনাথ সরকার। বললেন, "অনেক বছর এত ভাল বেচাকেনা হয়নি। যা এনেছিলাম শেষ।"
এদিন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া দপ্তরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন অমিতবাবু মেলার উদ্বোধন করে বলেন, "মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিপুল হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। এই মেলায় ছ'হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে, ২,৫৭৫ জন মহিলা হস্তশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন।" তিনি আরও বলেন, "হস্তশিল্পের ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন তৈরি করতে হবে। তার জন্য ডিজাইন সেন্টার গড়ে তুলতে হবে, যার ফলে অন্তররাষ্ট্রীয় সংগঠনের সঙ্গে টাই আপ করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যের মেলায়ও অংশগ্রহণ করতে হবে।"
এবছর ছ'হাজারের বেশি শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, "এ বছরের হস্তশিল্প মেলা বেচাকেনার সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। কেননা এখন পর্যন্ত ছ'হাজার শিল্পীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এর বাইরে অনেকে আছেন যাঁদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না, যদিও তাঁদের জায়গা দিতে বলা হয়েছে।"
জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রত্যেক শিল্পীর থাকা, খাওয়া ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে দৈনিক ৭৫ টাকা করে দেওয়া হবে।