Bengal Covid Daily Update: অনেকটা কমল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু। একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত ৬১৫, মৃত ১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৭৬ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩০%। কমেছে সক্রিয় সংক্রমণ। রাজ্যে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় সংক্রমণ ৭৯৪৫, তবে কিছুটা বেড়ে আক্রান্তের হার ২.৩৫%।
জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (১৭৩), তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (১৩৮)। তালিকার উপরের দিকে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫১) এবং হুগলিও (৪৯)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর (১৭), দার্জিলিং (১৪) এবং জলপাইগুড়ি (১২)। এদিকে, একধাক্কায় বেশ খানিকটা কমে গেল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে কমেছে মৃত্যু। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৮ জন। আক্রান্তের এই পরিসংখ্যান গত ৫৩৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ২৪৯।
ধীরে ধীরে করোনামুক্তির পথে দেশ। টিকাকরণকে হাতিয়ার করে ধীরে ধীরে করোনা জয়ের পথে ভারত। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে বড়সড় স্বস্তি মিলেছে। একদিনে নতুন করে দেশে করোনায় কাবু ৮ হাজার ৪৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি আরও ২৪৯।
করোনাকে জয় করে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৫১০ জন। এদিন আরও কমেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৪৩। করোনা অ্যাক্টিভ কেসের এই পরিসংখ্যানও গত ৫৩৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
উৎসবের মরশুম শেষে দেশে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। উৎসবের মরশুম শেষেই দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। যদিও এখনও পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যায়নি। অধিকাংশ রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দুর্গাপুজোর পর থেকে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে দেশের মধ্যে কেরল ও মহারাষ্ট্রেরই সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। দক্ষিণের রাজ্য কেরলই সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রকে। এই মুহূর্তে দেশের সিংহভাগ করোনা রোগীই কেরলের বাসিন্দা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন