Bengal Covid Daily Update: ছুটির দিনে সামান্য কমল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। টানা কয়েকদিন সাড়ে ৯০০-র উপরে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা কমে আক্রান্ত ৯১১, মৃত ১৫। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৯১৩ জন, সুস্থতার হার ৯৮.২৮%। আক্রান্তের হার নেমেছে দুই শতাংশের নীচে। রাজ্যে এই মুহূর্তে সংক্রমণে হার ১.৯৩%, সক্রিয় সংক্রমণ ৮২৯৬।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষেই থাকল কলকাতা। তিলোত্তমায় গত একদিনে সংক্রমিত ২৭৪ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত ১৪৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৭৫, তারপরেই হাওড়া এবং হুগলি। উত্তরবঙ্গের দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে দার্জিলিং, তারপরেই জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর। এই আবহে রাজ্যে এদিন থেকে সরকারি ভাবে গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। ৫০% যাত্রী নিয়ে ছুটছে ট্রেন। পাশাপাশি ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার তোরজোড় তুঙ্গে। তাই আগামি দুই সপ্তাহ করোনা মুডের উপর নজর থাকবে স্বাস্থ্য ভবনের।
এদিকে, করোনাকালে একটানা ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলাচলে ছাড় রাজ্য সরকারের। ট্রেনের কামরায় যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে দু’টি আসনের মধ্যে ক্রস চিহ্নযুক্ত স্টিকার লাগানো হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রেনের কামরা ও স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের সজাগ রাখতে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই চলতি বছরের ৫ মে থেকে ফের রাজ্যে বন্ধ হয়ে যায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। প্রথমে একটানা দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। এদিকে, লোকাল ট্রেন বন্ধে ঘোর-বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বিশেষ করে মফস্বলের এলাকাগুলিতে দারুণ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। পরবর্তী সময়ে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে একের পর স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ চরমে ওঠে।
লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও রেলের কর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু রাখে রেল। সেই ট্রেনে সাধারণ যাত্রীরা উঠতে গেলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে একাধিকবার। আরপিএফ ও জিআরপি-র কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়েছে একাধিক স্টেশনে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন