Bengal Covid Daily Update: একদিনে রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তবে স্বস্তি দিয়ে কমেছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৮৭৭, মৃত ৯। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৩ জন, সামান্য বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় কোভিড রোগী ৮১০৭। একই রয়েছে সুস্থতার হার (৯৮.২৯), তবে খুশির পরপর দুই দিন খবর ২%-এর নীচে আক্রান্তের হার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের হার ছিল ১.৯৫%, গত ২৪ ঘণ্টায় সেটা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৯৮%।
জেলাভিত্তিক দৈনিক আক্রান্তের বিচারে শীর্ষে কলকাতা (২৩৩), তারপর উত্তর ২৪ পরগনা (১৬১)। এরপরেই হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলী। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে দার্জিলিং (৩৪), তারপর দক্ষিণ দিনাজপুর (২৮) এবং জলপাইগুড়ি।
এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গু। উৎসব আবহে করোনা গ্রাফ বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও। ফি বছর রাজ্যে বর্ষার শেষে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এবারেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। বর্ষার শেষে শহর এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত সংখ্যা। কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। কলকাতা পুরসভার একাধিক বোরোতে মিলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু কলকাতা নয়, একাধিক জেলাতেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। উত্তর ২৪ পরগনা, বিধাননগরের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে ডেঙ্গু মাথা চাড়া দিয়েছে। মালদা, কোচবিহারের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।
ডেঙ্গুর এই সংখ্যাবৃদ্ধি ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের। অভিযোগ উঠছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হতেই ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরাও। জমা জল থেকেই ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই বছর প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে ৯০০ ছাড়িয়েছে। রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন হোন অযথা আতঙ্কিত হবেন না। নীচের বিষয়গুলি মেনে চলুন। সুরক্ষিত থাকুন আপনি এবং আপনার পরিবার।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বুঝবেন কী করে:
ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠ-সহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে ব্যথা অনুভব হতে পারে। জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা শরীরে লালচে র্যাশ দেখা যায়। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং রুচি কমে যায়। এই অবস্থাটা যেকোনো সময় জটিল হয়ে উঠতে পারে। যেমন অন্য সমস্যার পাশাপাশি যদি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। সঙ্গে মাথাঘোরা বুকে পেটে জল জমার মতও উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:
ডেঙ্গু একটি পতঙ্গ বাহিত রোগ। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকুন। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কোন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের কাছে যাবেন, জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সৌম্যজিৎ গুহ।
• প্রচণ্ড জ্বর, দু-থেকে তিনদিন স্থায়ী হলে।
• শরীরের যেকোনও অংশে রক্তপাত হলে।
• শ্বাসকষ্ট হলে অথবা পেট ফুলে গেলে।
• প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে।
• জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিলে।
• অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।
• প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন