West Bengal Civic Polls: বছরের শেষেই কলকাতা পুরসভার ভোট? সেই ইঙ্গিত মিলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাম্প্রতিক তৎপরতায়। সুত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি আয়ত্বে থাকলে চলতি বছরের শেষে তিনটি পুরনিগমের ভোট করতে আগ্রহী রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে বাকি ১১২টি পুরসভার ভোট নতুন বছরের শুরুতে আয়োজন করতে চায় কমিশন। কিন্তু পুরো সিদ্ধান্ত নবান্নের সবুজ সঙ্কেত নির্ভর। যদিও পুজোর আগে নবান্নে বসেই পুজোর পর পুরভোট আয়োজন নিয়ে একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই ইঙ্গিত এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে একসূত্রে বেঁধে এখন থেকেই প্রাথমিক প্রচারে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, ৩০ অক্টোবর রাজ্যের ৪ বিধানসভায় উপনির্বাচন। সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে ২ নভেম্বর। তারপরেই পুরনিগম এবং পুরভোট করাতে কোমর বাঁধতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রায় দেড় বছরের বেশি ধরে প্রসাশকমণ্ডলী বসিয়ে কাজ চলছে রাজ্যের পুরনিগম এবং পুরসভাগুলোতে।
রাজ্যের সেই উদ্যোগের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলো। অবিলম্বে পুরভোট চেয়ে গত বছর সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার বিধান দিয়েছে শীর্ষ আদালত। চলতি বছর জানুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্ট নবান্ন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সমন্বয়ের ভিত্তিতে পুরভোট আয়োজনে সম্মতি দিয়েছিল।
কিন্তু তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়। প্রায় ৩ মাস ধরে চলে সেই প্রক্রিয়া। ভোট মিটতেই করোনার দ্বিতীয়ও ঢেউয়ে ধস্ত হয় বাংলা-সহ গোটা দেশ। করোনা বিধি কার্যকর করে রাজ্যে যখন সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তখনই উৎসবে গা ভাষায় রাজ্য।
তাই একমাত্র পুজোর পর কিংবা বছরের শেষকে পাখির চোখ করে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রেক্ষিতে কমিশনের এক কর্তা বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে রাজ্যের ১১২টি পুরসভা এবং পুরনিগমে ভোট ঘোষণা করেছেন। সেই মোতাবেক আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু সরকারের চূড়ান্ত সবুজ সঙ্কেত ছাড়া আমরা পুর প্রস্তুতি নিতে পারব না। মনে হয় শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা এবং খড়দহের উপনির্বাচন মিটলে সেই কাজ শুরু হবে।‘
পাশাপাশি কলকাতা এবং হাওড়া তৃণমূলের একটি সুত্র বলেছে, বছরের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যে পুরভোট আয়োজন হবে। গোটা প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারি ২০২২-র মধ্যে চূড়ান্ত হবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা ধরেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি।‘
এদিকে, রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোটের পক্ষে রব তুলেছে। রাজ্য পুলিশে অনাস্থা দেখিয়েই এই দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে বামেরা রাজ্য পুলিশেই আস্থা দেখিয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পুরভোটে আপত্তি তুলেছে। তবে, রাজ্যের ১১৫টি পুরসভায় সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে চায় না সিপিএম। সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে এই সিদ্ধান্ত বামেদের। সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করে ওয়ার্ড ধরে ধরে প্রার্থী নির্বাচনে উদ্যোগ নিচ্ছে বামফ্রন্ট। সেক্ষেত্রে পরে বাম জোটে কংগ্রেস অংশ নেবে কিনা? এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু একলা চলার নীতিতে পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বামেরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন