Advertisment

Akhil Giri resigns: মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা অখিল গিরির, ভাঙলেন কিন্তু মচকালেন না তৃণমূল বিধায়ক

Akhil Giri resigns: মহিলা রেঞ্জারকে কুথার জেরে অবশেষে দলের চাপে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন অখিল গিরি। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বরখাস্তের হুঁশিয়ারির পরই রবিবার পদত্যাগের ঘোষণা করেন অখিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Subrata Bakshi directs Akhil Giri to resign from the ministry, অখিল গিরি, অখিল গিরিকে ইস্তফার নির্দেশ

Akhil Giri: অখিল গিরি।

Akhil Giri resignes: মহিলা রেঞ্জারকে কুথার জেরে অবশেষে দলের চাপে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন অখিল গিরি। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বরখাস্তের হুঁশিয়ারির পরই রবিবার পদত্যাগের ঘোষণা করেন অখিল। তবে ভাঙলেও মচকালেন না রামনগরের বিধায়ক। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। রেঞ্জ অফিসারের কাছে ক্ষমা চাইব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisment

কী বলেছেন অখিল গিরি?

রবিবার দুপুর কাঁথিতে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে অখিল জানান, 'মুখ্য়মন্ত্রী গতকাল সারাদিন এই ঘটনাটি দেখেছেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার বিষয়ে আমি অনুতপ্ত নই। আমি মন্ত্রী হয়েছি ২০২১ সালে। মন্ত্রিত্ব আমার কাছে কোনও বড় কথা নয়। আমার কাছে বড় কথা, আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে যতটুকু লড়াই করা দরকার, আগামীদিনে আমার লড়াই চলবে। আমি সবসময় দলের অনুগত সৈনিক। দল যখন যা নির্দেশ দিয়েছে, তখন সেইমতোই কাজ করেছি দলে থেকে। এখনও করব। আমি নিজে জনপ্রতিনিধি হিসাবে লড়াই করব। আমার কাছে যদি কোনও পদ না থাকে, আমার রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লড়াই করে যাব।'

ক্ষমা চাওয়ার কথা জানতে চাওয়া হলে অখিল বলেন, 'আমি কোনও সরকারি অধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাই না। আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইনি। আর ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।' যদিও অখিলের বক্তব্যের পর দল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তাঁকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ কোনও সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে এধরনের আচরণকে তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় না।

কেন বিতর্কে জড়ালেন অখিল গিরি?

উল্লেখ্য শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযানে আসা এক মহিলা বনাধিকারিককে বেয়াদপ, জানোয়ার বলেছিলেন অখিল গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে অখিল গিরিকে ওই মহিলা বনাধিকারিকের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দলের চাপে পড়েও কাঁথির মহিলা বনাধিকারিকের ক্ষমা না চেয়ে শুধুমাত্র নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্টে সেদিনের ঘটনার দায় ওই বনাধিকারিকের উপরেই চাপিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।

আরও পড়ুন মহিলা রেঞ্জারকে কুকথা! রেগে আগুন মমতা! অখিল গিরির মন্ত্রিত্ব যাওয়া প্রায় 'পাকা'

অখিল গুলির এহেন পদক্ষেপে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এর পরেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে অখিল গিরির সঙ্গে কথা বলতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে অখিল গিরিকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে ওই মহিলা রেঞ্জারের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দেয় দল।

যে মহিলাকে শাসান অখিল গিরি, তিনি কাঁথি মহকুমা সার্কেলের রেঞ্জ অফিসার মনীষা সাউ। তাঁর দাবি, তাজপুর সমুদ্র তীরবর্তী জায়গায় বন দফতরের জায়গা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, গত ২ বছর ধরে বন দফতরের তরফে বারবার নোটিস দেওয়া হলেও, জায়গা ছাড়া তো দূরঅস্ত, নোটিসের জবাবও দিচ্ছিলেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন Akhil Giri: মহিলা রেঞ্জারকে কুকথার ‘ফুলঝুড়ি’ অখিল গিরির! ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে কী সাফাই মন্ত্রীমশাইয়ের?

tmc Mamata Banerjee West Bengal akhil giri
Advertisment